ঢাকা: জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ ও টানা আটবারের সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ আগষ্ট) রাতে ঢাকার বনানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে। তবে কেন কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
পটুয়াখালী-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ দশম জাতীয় সংসদে চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর আত্মগোপনে চলে যান আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা। আত্মগোপনের তালিকায় আছেন সাবেক মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা। তাদের কেউ কেউ গ্রেপ্তার হচ্ছেন।
শেখ হাসিনা সরকারের কোনো মন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের খবর প্রথম আসে ১৩ আগস্ট। সেদিন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ।
পরে তাদের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে এক হকার নিহত হওয়ার ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
১৪ আগস্ট সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু; সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহ্মেদ পলক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তারের খবর জানায় ডিএমপি। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৬ আগস্ট রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়ি থেকে সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনকে আটক করে পুলিশ। তাকে একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এদিন সেনাবাহিনী থেকে সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
জিয়াউল আহসান সর্বশেষ টেলিযোগাযোগ নজরদারির জাতীয় সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক ছিলেন। তাকে নিউমার্কেট থানার হকার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এআর