ঢাকা: টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় কবলিত হয়েছে দেশের ১১টি জেলা। এই বন্যার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পানির নিচে চলে গেছে। ফলে মহাসড়কের ঢাকামুখি লেনে ৪৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাত থেকে সৃষ্টি হওয়া যানজট প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিরসন হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের মুহুরীগঞ্জ থেকে লালপোল পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেন পানিতে তলিয়ে গেছে। বানের পানির স্রোত দেখা গেছে সড়কে। এ কারণে ঢাকামুখী লেনে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছে হাজার হাজার গাড়ি। যাত্রী ও চালকদের যেন দুর্ভোগের শেষ নেই। তবে সড়কে কোথাও থানা, ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশ চোখে পড়েনি।
লরিচালক আসিফ হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে রওনা দিয়েছি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে। আজ ভোরে সোনাপাহাড় এসে পৌঁছাই। রাস্তায় ঠাঁই দাঁড়িয়ে রয়েছি। কোনো দিকে যাওয়ার অবস্থা নেই।’
ট্রাকচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় ২০ ঘণ্টা রাস্তায় গাড়ি নিয়ে, কোথাও খাবারের দোকান খোলা পাচ্ছি না। ক্ষুধায় প্রাণ যায় যায় অবস্থা।’
রাসেল আহম্মেদ নামে এক যাত্রী বলেন, ‘ঢাকায় যাওয়ার জন্য বাসে উঠছিলাম বৃহস্পতিবার ভোরে। শুক্রবার সকালে ঠাকুরদীঘি এলাকায় নেমে আবার চট্টগ্রাম শহরে চলে আসছি। যদিও অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে।’
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ সোহেল সরকার বলেন, ‘পুলিশ রাস্তায় দায়িত্ব পালন করে লাভ হবে না। কারণ পানির কারণে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। পানি নেমে গেলে যানজট নিরসন হয়ে যাবে।’
এসআই
আপনার মতামত লিখুন :