• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

চিকিৎসকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত নিয়ে ধোঁয়াশা


নিজস্ব প্রতিবেদক:  সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম
চিকিৎসকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত নিয়ে ধোঁয়াশা

ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম। বৈঠক থেকে বেরিয়ে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিনি বলেন, চিকিৎসকদের দাবিদাওয়া যত দ্রুত সম্ভব পূরণ করা হবে। আর ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জমান বলেন, তারা জরুরি সেবাসহ কিছু সেবা এখনই চালু করবেন।

কিন্তু আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা বলেছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবেন। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আবদুল আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, এখন দাবি পূরণ হলে এখনই তারা কাজে ফিরবেন। অবশ্য চিকিৎসকদের আরেকটি পক্ষ বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তাই আগামীকাল সোমবার রাত আটটা পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।

তবে পাল্টাপাল্টি এসব ঘোষণার পরেও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসকেরা কাজে যোগ দেননি।

গতকাল শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনা ঘটে। হামলার বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে আজ সকাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করেন চিকিৎসকেরা। পরে সব চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনায় বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, কিন্তু সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। এরপর চিকিৎসকেরা সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউনের ডাক দেন।

আন্দোলনরত চিকিৎসকদের চার দফা দাবি হলো—
১. হাসপাতালের মতো জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠানে যেসব ব্যক্তি বা কুচক্রী মহল এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করা। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা। দ্রুত বিচার আইনের মাধ্যমে তাদের শাস্তির আওতায় আনা।

২. নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করা। এ লক্ষ্যে অবিলম্বে দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য পুলিশের (আমর্ড ফোর্স) মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৩. নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে হাসপাতালে রোগীর ভিজিটর (ভিজিটর কার্ডধারী) ছাড়া বহিরাগত কাউকে কোনোভাবেই ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়া। বিষয়টি স্বাস্থ্য পুলিশের মাধ্যমে নিশ্চিত করা।

৪. হাসপাতালে রোগীর সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো অবহেলা-অসংগতি পরিলক্ষিত হলে, তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ আকারে জানানো। এভাবে শাস্তি নিশ্চিত করা যেতে পারে, কিন্তু কোনোভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।

আইএ

Wordbridge School
Link copied!