ঢাকা : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সীমান্ত হত্যা এবং তিস্তার পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইকে একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তবে পিটিআইকে দেয়া এই সাক্ষাৎকারটি ভালোভাবে নেয়নি ভারত। ভারতীয় কয়েকটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস তাদের প্রতিবেদনে ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে, এই সাক্ষাৎকারের কারণে জাতিসংঘের অধিবেশনের ফাঁকে ড. ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নাও হতে পারে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, জাতিসংঘে মোদির সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠকের আয়োজন করতে গত সপ্তাহে ভারতকে একটি প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। এ নিয়ে এখনো ভারত থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক জবাব আসেনি। কারণ নিউইয়র্কে মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।
অধ্যাপক ইউনূস পিটিআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থানে কেউ স্বস্তিতে নেই। কেননা, বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে আমরা তাকে দেশে ফেরত আনতে চাই। তিনি ভারতে থাকছেন এবং একই সময় কথা বলছেন; যা সমস্যা তৈরি করছে। তিনি যদি চুপ থাকতেন, তাহলে আমরা (বিষয়টি) ভুলে যেতাম; লোকজনও ভুলে যেতেন; কারণ তিনি নিজের জগতে থাকতেন। কিন্তু ভারতে বসে তিনি কথাবার্তা বলছেন ও নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন। কেউ এটা পছন্দ করছেন না। সবাই এটি বোঝেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলছি, তার চুপ থাকা উচিত। এটি (তার কথাবার্তা ও নির্দেশনা) আমাদের প্রতি অবন্ধুসুলভ আচরণ। তাকে সেখানে আশ্রয় দেয়া হয়েছে এবং তিনি সেখানে থেকে প্রচার চালাচ্ছেন। বিষয়টি এমন নয় যে সেখানে একটি স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে গেছেন তিনি। গণ-অভ্যুত্থান ও জনরোষের মুখে তিনি পালিয়েছেন।
এছাড়া আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলকে ভারত যে ইসলামিক দল মনে করে সেটিও ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন ড. ইউনূস।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। ওইদিন তিনি ভারতের দিল্লিতে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে সেখানেই আছেন শেখ হাসিনা।
এমটিআই