ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৬২৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১৮ হাজার ৩৮০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ। তবে হতাহতের এই সংখ্যাটিই চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সচিব এ কথা জানান।
যদিও গত ৪ সেপ্টেম্বর তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের তালিকায় এখন পর্যন্ত ৮০০ জনের নাম পাওয়া গেছে। তালিকা তৈরি হচ্ছে।
সচিব আকমল হোসেন আজাদ বলেন, আন্দোলনে আহত ছাত্র ভাইদের মধ্যে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন, তেমন কোনো দায়ভার থাকলে জাতির কাছে আমরা পার পাবো না। সেজন্য আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি। আহত ছাত্রদের বিদেশে চিকিৎসার জন্য চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ বিমান বিনামূল্যে টিকিট দিয়েছে। কেউ না দিলেও আমরা ব্যবস্থা করবো।
তিনি আরও বলেন, কতজন ছাত্র বা জনতা আহত-নিহত হয়েছেন সে ব্যাপারে একটি টাস্কফোর্স বা কমিটি হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের একজন সাবেক স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা এ সংখ্যাটাটি নিরূপণের জন্য চেষ্টা করছেন। আমাদের ডাটাবেইজ, কমিটির তথ্য ও বিভিন্ন সূত্রের তথ্যে একটি সংখ্যা জানাতে চাই। তবে এটিই চূড়ান্ত নয়।
এসময় সচিব বলেন, আমরা জানতে পেরেছি ১৮ হাজার ৩৮০ জন আহত হয়েছেন, ৬২৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে স্থানান্তর করার চেষ্টা করছি। আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা হলো বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে সেবাদানকারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ভবিষ্যৎ যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত করা। আমাদের ক্যাপাসিটি বাড়ানোর চেষ্টা করছি। যেটা ভেঙে পড়েছে সেটার কারণ অবহেলা। অন্যায্য দাবি পূরণ করা।
আইএ