ঢাকা: দুই হাজার ২২৭টি পর্ন ও জুয়ার সাইট বন্ধ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরমধ্যে এক হাজার ৬৬৭টি পর্ন ওয়েবসাইট এবং ৫৬০টি জুয়ার ওয়েবসাইট। ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিগত এক মাসে দুই মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম এবং ১০০ দিনের কর্মসূচি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন নাহিদ ইসলাম।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, চিঠিপত্র ও পার্সেল, ডকুমন্টেস গ্রাহক সেবা সহজীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেজন্য অনলাইন বুকিং অ্যাপস প্রস্তুত করা হয়েছে। এ অ্যাপসের মাধ্যমে প্রত্যেক গ্রাহক নিজে ঘরে বা অফিসে বসে যেকোনো সময় পার্সেল বা ডকুমেন্টস যেকোনো সময় বুকিং করতে পারবেন।
তিনি বলেন, প্রথমে এসে বৈষম্যবিরোধী কোটা সংষ্কার আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হওয়ার তদন্ত কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পেয়েছিলাম। বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল হয়েছে। বর্তমানে কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের কাজ চলছে। একইভাবে ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত এ বিভাগের সব উন্নয়ন প্রকল্পের মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা চলছে।
উপদেষ্টা জানান, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট ব্যবস্থায় এক হাজার ৬৬৭টি পর্ন ওয়েবসাইট এবং ৫৬০টি জুয়ার ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়েছে। ম্যালওয়ার ছড়ায় এরূপ সাইটে প্রবেশগম্যতায় কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
উপদেষ্টা আরও জানান, টেলিটকের নেটওয়ার্ক কাভারেজ এবং পরিষেবা সম্প্রসারণ উন্নয়য়েণর মাধ্যমে সেবার পরিধি আরও বাড়ানো হয়েছে। ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে সব প্রক্রিয়া শেষ করে অতি শিগগিরই আইএফটি জারি করা হবে।
আইসিটি বিভাগের বিষয়ে তিনি বলেন, হাইটেক পার্কের নাম পরিবর্তন হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগগুলো তদন্ত কমিটির মাধ্যমে বিবেচনা করছি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মুশফিকুর রহমান বলেন, বেশ কিছু বকেয়া টেলিফোন অপারেটরদের কাছে আছে। আমাদের ১০০ দিনের কর্মসূচির মধ্যে অন্তভুক্ত করা হয়েছে। যেকোনো মূল্যে আমরা বকেয়াগুলো আদায় করতে চাই। আমরা একটা ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে অন্তত পক্ষে কিছু পরিমাণ হলেও আদায় করতে ব্যবস্থা নেব।
কলড্রপ নিয়ে এক প্রশ্নে টেলিযোগাযোগ সচিব বলেন, কলড্রপ দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা। গ্রাহকেরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। সীমিত পর্যায়ে আনা যায় এবং জনগণকে ভোগান্তি থেকে মুক্ত রাখা যায় সে বিষয়ে আমাদের পদক্ষেপ আছে।
বিটিআরসির কমিশনার মুশফিক মান্নানের বিরুদ্ধে এফডিআরের অর্থ আত্মসাৎসহ লাইসেন্স বাণিজ্যের অভিযোগ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা- প্রশ্নে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, প্রাথমিকভাবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিটিআরসি চেয়ারম্যানসহ তিনজন এরই মধ্যে পদত্যাগ করেছেন। নতুন চেয়ারম্যান দেওয়া হয়েছে। আমরা আরও নতুন কমিশনার নিয়োগ দেবো। মূলত তারা তারা দায়িত্ব নিয়ে বিষয়গুলো সমাধান করবেন।
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :