ঢাকা : বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে ঢাকাকে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক এবং অনুদান চুক্তি শেষে এসব কথা বলেন ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কাউড।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা দিতে বাড়তি ২০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হচ্ছে। এজন্য চুক্তিটি নতুনভাবে করা হয়েছে। বাংলাদেশের সুশাসন, অর্থনেতিক স্থিতিশীলতাসহ বি়ভিন্ন খাতে সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগে যে অর্থায়ন ছিল; তার অতিরিক্ত হিসেবে ২০০ মিলিয়ন ডলার দেবে ইউএসএআইডি।
পাচার হওয়া টাকা ফেরানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে অনেক বিষয়েই আলাপ হয়েছে। পরে আমরা বিস্তারিত ব্রিফিং করবো।
আলোচনা শেষে অনুষ্ঠিত অনুদান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরক্ত সচিব সালাহউদ্দিন এবং ইউএসএআইডির মিশন ডিরেক্টর রিড জে স্কেলিম্যান।
ইআরডি থেকে জানানো হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার। ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত ‘অর্থনৈতিক প্রযুক্তিগত এবং সম্পর্কিত সহায়তা’ শীর্ষক একটি আমব্রেলা চুক্তির অধীনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র এবং শাসনের মতো বিভিন্ন খাতে এখন পর্যন্ত ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অবদান রেখেছে।
খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন খাতে ইউএসএ তার বেশিরভাগ উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এবং কিছু অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে।
ইআরডি আরও জানায়, ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১-২৭ সালের জন্য সরকার ও ইউএসএইড এর একটি নতুন সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এটি বাস্তবায়নেন জন্য মোট ৯৫৪ মিলিয়ন ডলার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।
এমটিআই