ঢাকা: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাতসহ তার আমন্ত্রণে নৈশভোজে অংশ নেবেন।
তবে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাত হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গেও বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে ড. ইউনূসের। এর পাশাপাশি মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফসহ নেদারল্যান্ডস, নেপালের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন এবং জাতিসংঘ সচিবালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসসহ বেশ কজন পদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গেও বৈঠক হবে ড. ইউনূসের। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বাগতিক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রদত্ত ডিনার পার্টিতে অন্যসব সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের নেতাদের সঙ্গে ড. ইউনূসও অংশ নেবেন। এটি অনুষ্ঠিত হবে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের কাছে ‘মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্ট’র বিশাল মিলনায়তনে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ফার্স্টলেডি জিল বাইডেন সে সময় সবাইকে স্বাগত জানাবেন এ ডিনার পার্টিতে। এ সময় অতিথিদের সঙ্গে ফটোসেশনেও মিলিত হবেন ফার্স্টলেডি ও প্রেসিডেন্ট।
জাতিসংঘে ভারতীয় মিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২১-২২ এবং ২৩ সেপ্টেম্বর থাকবেন জাতিসংঘের কার্যক্রমে। শীর্ষ সম্মেলনে মোদির প্রতিনিধিত্ব করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই নিউইয়র্কে ড. ইউনূসের সঙ্গে মোদির বৈঠক অথবা সাক্ষাতের এ মুহূর্তে কোনো সম্ভাবনা নেই।
আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে ড. ইউনূস সাধারণ অধিবেশনে (৮ নম্বর বক্তা হিসেবে) বাংলাদেশের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন বলে জাতিসংঘ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে। এদিন রাতের ফ্লাইটে ড. ইউনূস ঢাকার উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করবেন।
এদিকে ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটিতে টাইমস স্কয়ার সংলগ্ন ম্যারিয়ট মারক্যুইস হোটেলের বলরুমে নাগরিক সমাবেশে ড. ইউনূসের ভাষণ দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থক সাধারণ প্রবাসীরা হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
অন্যদিকে, ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে জেএফকে এয়ারপোর্টে ড. ইউনূসকে কালো পতাকা প্রদর্শনসহ ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানোর প্রস্তুতি চলছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। কানাডা ও আমেরিকার বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, শেখ হাসিনা পরিষদের সমর্থকরা জেএফকে এয়ারপোর্টে উপস্থিত হবেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এআর