ঢাকা: অনেক আলোচনা-সমালোচনার পর অবশেষে পদ্মার ইলিশ পেয়েছেন ভারতের মানুষ। দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও পরে তা থেকে সরে এসে ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।
ইতোমধ্যে প্রথম দফার চালন চলে গেছে দেশটিতে। কলকাতার বাজারে মিলতে শুরু করেছে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কলকাতার পাইকারি বাজারগুলোতে বাংলাদেশের ইলিশ নিয়ে রীতিমতো সোরগোল পড়ে যায়। পাইকারি বাজার থেকে খুচরো বিক্রেতারা ইলিশ কিনে বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যান। সেখান থেকে পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ কিনে বাড়ি ফেরেন অনেকে।
পরিবার পরিজন মিলে সেই ইলিশ খেয়ে হয়তো পরান জুড়াচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষজন! তৃপ্তির ঢেকুরের সঙ্গে ভালোবাসার বন্ধনে বাঁধছেন প্রতিবেশি বাংলাদেশকে!
বাংলাদেশ থেকে দুই ধরনের ইলিশই পাঠানো হয়েছে ভারতে৷ কিছু ইলিশ এক কেজি বা তার বেশি ওজনে এবং কিছু ইলিশ এক কেজির কম ওজনের।
সকালে কলকাতার গড়িয়াহাট বাজারে দেখা যায় প্রচুর বিক্রেতা বাংলাদেশের ইলিশ বিক্রি করেছেন। এছাড়াও কলকাতার বিভিন্ন বাজারে বিক্রেতারা বাংলাদেশের ইলিশ নিয়ে আসেন মানিকতলা, লেক মার্কেটের মতো বড় বাজারেগুলোতে। আজকে বেচাকেনার মাধ্যমে ভারতীয়দের বাংলাদেশের ইলিশা প্রতীক্ষা শেষ হয়।
পাইকারি বাজারে এক কেজির থেকে বড় ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০-১৭০০ রুপিতে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২২০০-২৪০০ টাকা। এক কেজির নিচের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার চারশ টাকা থেকে এক হাজার পাঁচশ রুপিতে। যা বাংলাদেশি টাকায় ১৯০০-২১০০ টাকা।
এই ইলিশ কলকাতার খুচরা বাজারে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে আড়াই হাজার রুপি কেজি৷ যা বাংলাদেশি টাকায় ২৮০০-৩৫০০ টাকায়।
বাজেরে ইলিশ কিনতে আসা পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, বাংলাদেশের ইলিশের দাম বেশি৷ কিন্তু তার স্বাদটাও দেখতে হবে৷ স্বাদটাই তো আসলা তাই কোলাঘাটে রূপনারায়ণের ইলিশ যেমন আমার পছন্দ, তেমনই পছন্দ বাংলাদেশের ইলিশা।’
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :