ঢাকা: প্রতিবেশী দেশ ভারতের রাষ্ট্রদূতসহ পাঁচ রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার তথ্য দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক সপ্তাহের সহিংস বিক্ষোভের পর নোবেল শান্তি বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের সূচনা হয় যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করতে এবং ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই কর্মকর্তা বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্রাসেলস, ক্যানবেরা, লিসবন, নয়াদিল্লি এবং নিউইয়র্কে জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনের রাষ্ট্রদূতকে অবিলম্বে রাজধানী ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দিয়েছে।
তিনি জানান, ওই কর্মকর্তাদের অবিলম্বে তাঁদের দায়িত্ব হস্তান্তর করতে এবং ফিরে আসতে বলা হয়েছে। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি এই কর্মকর্তা।
এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর এক আদেশে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমকে অবিলম্বে ঢাকায় ফিরে আসতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন নির্দেশনা এলো।
যে পাঁচ কূটনীতিককে ঢাকায় ফিরতে বলা হয়েছে, তারা হলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল মুহিত, বেলজিয়ামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ, অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী ও পর্তুগালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এসএস