• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

ডিসি নিয়োগে ঘুষ লেনদেন, সচিব বললেন ‘ইটস এ ফেইক নিউজ’


নিউজ ডেস্ক অক্টোবর ৩, ২০২৪, ০২:২৫ পিএম
ডিসি নিয়োগে ঘুষ লেনদেন, সচিব বললেন ‘ইটস এ ফেইক নিউজ’

ঢাকা: মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগের অভিযোগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এবং দুই যুগ্ম সচিব ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও আলী আযমের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। 

এ সংবাদকে ‘ফেইক’ বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘ইটস এ ফেক নিউজ।’

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।

সিনিয়র সচিব বলেন, আমার মোবাইল হল স্যামসাং। তারা যেটা শো করেছে সেটি হলো আইফোন। আইফোন কি আমি ব্যবহার করি? আমি ব্যবহার করি স্যামসাং। উনারা কে কি দেখাল ওনাদের জিজ্ঞেস করবেন। আমি এটার বিষয়ে কিছুই জানি না।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার একটি দৈনিক পত্রিকায় এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এবং ‘বিতর্কিত’ দুই যুগ্ম সচিব ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও আলী আযম মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ডিসি নিয়োগ দিয়ে থাকেন। সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের সঙ্গে যুগ্ম সচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদের হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের কিছু স্ক্রিনশট যুক্ত করে দেওয়া হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের একপর্যায়ে নিজেকে নির্লোভ দাবি করেন সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান। টাকা-পয়সার প্রতি কোনো লোভ নেই জানিয়ে ডিসি নিয়োগে পাঁচ কোটি টাকা দাবি করেন তিনি। 

সম্প্রতি এক যুগ্ম সচিবের কক্ষ থেকে তিন কোটি টাকার একটি চেক এবং ডিসি নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু চিরকুট উদ্ধার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিকটি। সেই প্রতিবেদন নিয়ে তোলপাড় তৈরি হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ঘটনা তদন্তে এক সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে যে কর্মকর্তার দিকে সন্দেহের আঙুল উঠেছিল, সেই যুগ্ম সচিবকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

যদিও এর আগেও সংবাদ সম্মেলন ডেকে ওই প্রতিবেদনকে ‘গুজব’ ও ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে দাবি করেছিলেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান।

আইএ

Wordbridge School
Link copied!