• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর, ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১
বিজিবি প্রধান

বিএসএফের চাইতে বিজিবি কোনো অংশে কম নয়, পিঠ দেখাবো না


নিজস্ব প্রতিবেদক:  অক্টোবর ৩, ২০২৪, ০৮:২০ পিএম
বিএসএফের চাইতে বিজিবি কোনো অংশে কম নয়, পিঠ দেখাবো না

সীমান্তে বিজিবির অবস্থান।ফাইল ছবি:

ঢাকা: কোনো কিছুতে নিজেরা ছাড় দিয়ে সীমান্তে কিছু হবে না বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, ‘কারণ বিএসএফের চাইতে বিজিবি কোনো অংশে কম নয়। সীমান্তে পিঠ দেখাবে না বিজিবি। বিজিবির পক্ষ থেকে আশ্বাস-নিশ্চিত করছি, সীমান্ত রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর। নিয়ম-নীতির বাইরে আমরা বিএসএফ বা ভারতকে ছাড় দেবো না।’

সার্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘আমি সীমান্ত ও বিজিবির প্রেক্ষাপট থেকে বলতে পারি, সীমান্তে যারা মাইনরিটি আছেন তারা চলে যেতে পারেন- এ ধরনের অপপ্রচার অতিরঞ্জিত প্রচার করা হচ্ছিল। সে সময় বিএসএফ তাদের ক্যাম্পগুলোতে জনবল বাড়িয়েছে। তাদের অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের (ভারতের) সেনাবাহিনী আসার কথা নয়, কিন্তু সে সময়ে আমরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর গাড়ির মুভমেন্ট সে পর্যন্ত দেখেছি, যেখানে তাদের আসার কথা না।’

বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, ‘হয়তো তারা শঙ্কায় ছিল যে বড় সংখ্যক একটা অংশ বাংলাদেশ থেকে ভারতে যায় কি না। আমরা এটার লিখিত ও মৌখিক প্রতিবাদ করেছি। পরবর্তী সময়ে ডিজি পর্যায়ে বিএসএফের সঙ্গে যে বৈঠক হবে সেখানে উত্থাপন করা হবে। তবে তারা (বিএসএফ) জানিয়েছে, তাদের সেনাবাহিনী সেখানে ছিল না। তবে তারা নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। তারা নানানভাবে এদিকে খেয়াল রাখার চেষ্টা করছে।’

আমাদের দেশের কিছু কিছু অপরাধী চক্র বিএসএফকে তথ্য দিচ্ছে দাবি করে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা এমন কয়েকজনকে শনাক্ত করে এনটিএমসির মাধ্যমে পুলিশে সোপর্দ করেছি।’

বিজিবির আওতাধীন এলাকায় গতবারের তুলনায় এবার পূজা মণ্ডপের সংখ্যা কমেছে না বেড়েছে? জানতে চাইলে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘অন্য বছরের তুলনায় এবার এক অর্থে কমেছে। অন্য বছর সুনির্দিষ্ট স্থান ছাড়াও পূজা মণ্ডপ হতো। এবার সেটা নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এটা করা হয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে। কারও অধিকার খর্ব করার জন্য নয়। যাতে করে যেখানে হচ্ছে সেখানে যেন ভালভাবেই পূজা হয়।’

তিনি বলেন, ‘সীমান্তবর্তী এলাকায় কিছু বড় মন্দির ওপারে-এপারেও আছে। সেখানে যাতে ক্রস বর্ডার না হয় সেটা নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তবে গতকাল থেকে মহালয়া শুরু হয়েছে। সুন্দর আমেজেই সেখানে পূজার আয়োজন হয়েছে।’

আইএ

Wordbridge School
Link copied!