ঢাকা: মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে চাই। দুই দেশই সম্পর্ক এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছি। অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। তাছাড়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিষয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন, জনশক্তি রপ্তানি, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কর্মসংস্থান তৈরি, ভিসা সহজীকরণের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
সফররত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ড. ইউনূস বলেন, প্রতিদিন চারশ থেকে পাঁচশ রোহিঙ্গা প্রবেশ করছে, এটা উদ্বেগের বিষয়। তবে এটির সমাধান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হাতে। এ সংকটে কেবল বাংলাদেশই নয়, মালয়েশিয়াও ভুক্তভোগী। এটি নিরসনে একসঙ্গে কাজ করছি। বিভিন্ন আঞ্চলিক জোটকে এতে সম্পৃক্ত করার কথাও জানান তিনি।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, মানুষের মর্যাদা রক্ষায় ড. ইউনূসের ভূমিকা আমরা জানি। তাকে ব্যক্তিগতভাবে আমি চিনি। তাই তার ওপর ভরসা রাখছি। বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন থাকবে।
এসময় ড. ইউনূস বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় যেসব কর্মী ঝামেলায় পড়েছে, প্রথম দফায় এমন ১৮ হাজার জনকে সহায়তার বিষয়ে সম্মত হয়েছি। বাংলাদেশের কর্মীরা আধুনিক দাস নয়। বাংলাদেশের শ্রমিকদের সুরক্ষার বিষয়ে কাজ করছি।
এসময় বাংলাদেশে সেসব মালয়েশিয়ান প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, তাদের সুবিধা দেওয়ার আহ্বান জানান আনোয়ার ইব্রাহিম।
এর আগে বেলা ২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাকে স্বাগত জানান। পরে বিমানবন্দরে আনোয়ার ইব্রাহিমকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। সফর শেষ করে আজই তার ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার মন্ত্রিসভার সদস্য, উপমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ৫৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল রয়েছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এটি বিদেশি কোনও সরকার প্রধানের প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর।
আইএ