• ঢাকা
  • রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
ড. ইউনূস

শিশুর বিকাশের অন্তরায়গুলো চিহ্নিত করে সমাধানে বদ্ধপরিকর সরকার


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ৭, ২০২৪, ১২:৫৯ পিএম
শিশুর বিকাশের অন্তরায়গুলো চিহ্নিত করে সমাধানে বদ্ধপরিকর সরকার

ঢাকা : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার শিশুর প্রতি বঞ্চনা, শিশুশ্রম, অপুষ্টি ও বাল্যবিবাহসহ অন্যান্য সমস্যা যা শিশুর সঠিক বিকাশের অন্তরায় সেসব চিহ্নিত করে সমাধান করতে বদ্ধপরিকর।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, ‘বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শিশুকে স্নেহ ও ভালোবাসা জানাই। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঊষালগ্নে বিশ্ব শিশু দিবস পালনের গুরুত্ব নতুন মাত্রায় উপনীত হয়েছে। শিশুরাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার। বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে শিশুদের সুন্দর বিকাশের জন্য গুরুত্ব দেওয়া আমাদের সবার দায়িত্ব। তাই শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশে উপযুক্ত পরিবেশ, শিক্ষা, নিরাপত্তা, পুষ্টি ও সুস্থ বিনোদনের বিকল্প নেই।

ড. ইউনূস বলেন, শিশুরা স্নেহ, মমতা ও মুক্তচিন্তার চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে বেড়ে উঠলে আগামী দিনের বাংলাদেশ গঠনে তারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে। আজকের শিশুরাই আগামীর শিল্পী, সাহিত্যিক, দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ, বিজ্ঞানী, চিকিৎসক ও প্রকৌশলীসহ নানা পেশায় দক্ষ হয়ে উঠবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপনে নেওয়া কর্মসূচি শিশুর সার্বিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শিশু নিরাপদ ও নিবিড় স্নেহ যত্নে বেড়ে উঠুক—আজকের দিনে এটাই আমার প্রত্যাশা। তিনি বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৪—এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস পালন করে থাকে। এ ছাড়া শিশুর অধিকার, সুরক্ষা এবং শিশুর উন্নয়ন ও বিকাশে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অধিকতর উদ্যোগী ও সচেতন করার লক্ষ্যে এ বছর ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত পালন করা হয়েছে শিশু অধিকার সপ্তাহ।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!