ঢাকা: গেল কয়েকদিন ধরে বন্যা কবলিত ময়মনসিংহ, শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলার ১৩ টি উপজেলা। এ বন্যায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে শেরপুর জেলায় ৮ জন আর ময়মনসিংহে মারা গেছেন ২ জন। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই লাখ ৩৮ হাজার ৩৯১ জন মানুষ।
বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদিকদের এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা।
এসময় তিনি জানান, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণার ১৩টি উপজেলা এবারের বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ ৭৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা। বন্যায় মোট ৬৩ হাজার ১৭১টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্য দুই লাখ ৩৮ হাজার ৩৯১ জন।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে আশ্রয় দিতে মোট ১৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। মোট এক হাজার ৩৩৭ জন সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই পেয়েছ ৫৬১টি গবাদি পশু।
অতিরিক্ত সচিব আরও জানান, বন্যা আক্রান্ত ওই তিন জেলায় মোট ৭২ লাখ টাকা নগদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া চাল দেওয়া হয়েছে চার হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। তিন জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে মোট ২০টি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে টানা ৬ দিন পর ময়মনসিংহ ও শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করলেও, পুরোপুরি কমেনি দুর্ভোগ। বৃষ্টি ও উজানের ঢল কমায় বুধবার ভোর থেকে পানি নামতে শুরু করলেও ধীরগতির কারণে বেড়েছে ভোগান্তি। নেত্রকোণায় এখনো পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ। পানি নামায় স্পষ্ট হচ্ছে দুর্গত এলাকাগুলোর ক্ষয়-ক্ষতির চিহ্ন।
এদিকে পানি কমার সাথে সাথে দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে চর্ম ও পানিবাহিত রোগের প্রকোপ। সংকটের সৃষ্টি হয়েছে খাবার ও সুপেয় পানির।
উজানের পাহাড়ি ঢলে আগস্টের মাঝামাঝিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার পর সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে টানা ভারি বৃষ্টিতে রংপুর, নীলফামারীসহ উত্তরের নিম্নাঞ্চলে বন্যা হয়েছে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ জুড়ে এমন বৃষ্টিপাতে নদীর পানি বেড়ে ডুবেছে ময়মনসিংহ বিভাগের তিন জেলা।
এসএস