• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে সহিংসতায় জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১৭, ২০২৪, ০৭:৪৪ পিএম
বাংলাদেশে সহিংসতায় জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে

ঢাকা : বাংলাদেশে সহিংসতার ঘটনায় কোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলেছে, একই সঙ্গে এসব ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই সাংবাদিক দাবি করেন, বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ৫ থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য (পুলিশ সদর দপ্তর ৪৪ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে) নিহত হয়েছেন এবং ৪০০–এর বেশি থানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সমন্বিত পরিকল্পনার আওতায় সংঘবদ্ধ বিক্ষোভকারীদের দ্বারা আওয়ামী লীগের অনেক সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। যে সমন্বিত পরিকল্পনার কথা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উল্লেখ করেছেন। এ অবস্থায় রাজনৈতিক পরিচয়নির্বিশেষে সব ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতে মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবে কি না, তা জানতে চান ওই সাংবাদিক।

জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, সহিংসতার পক্ষে কোনো অজুহাত থাকতে পারে না। হোক সেটা (সহিংসতা) শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর অথবা বিক্ষোভকারীরা যদি নিজেরাও সহিংসতা করে থাকেন, তাহলেও। সহিংসতার জন্য যে–ই দায়ী হোক না কেন, তাকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’

উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের মাধ্যমে বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে এক নবযাত্রা সূচিত হয়েছে। গণ–অভ্যুত্থানকে সাফল্যমণ্ডিত করতে ছাত্র-জনতা সক্রিয়ভাবে আন্দোলনের মাঠে থেকে কাজ করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ১৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত জুলাই গণ–অভ্যুত্থানসংশ্লিষ্ট ঘটনার জন্য কোনো মামলা, গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার সময় চট্টগ্রামে সাংস্কৃতিক মঞ্চে ইসলামি গান পরিবেশন নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদনে আসা তথ্যের প্রতিও ম্যাথু মিলারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, এ ঘটনা মার্কিন প্রশাসন কীভাবে দেখছে?

এর জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, তাঁরা বাংলাদেশসহ সব দেশেই ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বিষয়টি জেনে পরে সাংবাদিককে জানাবেন।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!