ঢাকা: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে টানা ৬ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর এবার অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারীরা।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারা অবস্থান কর্মসূচি থেকে অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
এর আগে দুপুরে কর্মসূচি থেকে তারা ঘোষণা দিয়ে বলেছেন- প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত তারা শাহবাগ ছাড়বেন না। ঘোষণার ধারাবাহিকতায় তারা ৬ ঘণ্টা শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বেলা ১২টা থেকে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। অবস্থান কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা বেলা ১২টা থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে যাব না।
তারা বলেন, গত ১২ বছর ধরে আমরা এই এক দাবিই জানিয়ে আসছি। কিন্তু আমাদের কথা শোনা হচ্ছে না। আমরা বেকার, আমাদের কোনো চাকরি, আয় নেই। তবুও আমরা আমাদের দাবি আদায়ে কর্মসূচি পালন করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছি। বারবার আন্দোলন করতে আমরা রাজপথে নামতে চাই না। তাই আজ আমরা বলতে চাই, আমরা ৩৫ এর প্রজ্ঞাপন নিয়ে তবেই বাড়ি ফিরব। প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আজ শাহবাগ ছাড়ব না।
এর আগে আন্দোলনকারী বলেন, বাংলাদেশের সব পর্যায়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আজ থেকে ৩৩ বছর আগে ১৯৯১ সালে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়। যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে।
এ কারণে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা যৌক্তিক। গড় আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ২০১১ সালে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হয়। কিন্তু, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি না করে সেটি ৩০ বছরেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়, যার কারণে দেশে উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এআর