ঢাকা: দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ ৫ দফা ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তি, বিশ্ববিদ্যালয় বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিতে সচিবলায় ঘেরাও করে অবস্থান নিয়েছে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
সোমবার (১১ নভেম্বর) শিক্ষা ভবনের সামনের মোড় অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
পরে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দাবির স্মারকলিপি নিয়ে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ে ঢোকে। তবে, শিক্ষা সচিব দেখা না করায় সচিবালয় ঘেরাও করে হাজারো শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, শিক্ষা সচিবকে দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দিতে সচিবালয়ে ঢোকেন আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান, সংগঠক একেএম রাকিব, রাইসুল ইসলাম নয়ন, আসাদুল ইসলাম, আবু বকর খান, নওশীন নাওয়ার জয়া, সোহান প্রামাণিক, মাসুদ রানা, নূর নবী, ওমর ফারুক, ফেরদৌস শেখ, অপু মুন্সী। কিন্তু ১২ সদস্যের এ প্রতিনিধি দল সচিবের সঙ্গে দেখা করতে পারেনি।
জবি শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি হলো- স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনা ও সাত দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ কর্মকর্তার হাতে এ দায়িত্ব অর্পন; শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখাসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের ঘোষণা; অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ ও পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সকল চুক্তি বাতিল; সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণাকৃত পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেট সর্বনিম্ন ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান।
দেখা না পেয়ে শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের বাইরে এসে ‘শিক্ষা সচিবকে ক্ষমা চাইতে হবে’ বলে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। এছাড়া শিক্ষা উপদেষ্টাকে আন্দোলনে হাজির হতে আহ্বান জানান।
আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, আমরা স্মারকলিপি নিয়ে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ে ঢুকেছিলাম। কিন্তু তিনি নিজে দেখা না করে তার প্রতিনিধি পাঠান আমাদের সঙ্গে কথা বলতে। আমরা এটা মানি না। এখন আমাদের দাবি শিক্ষা উপদেষ্টা এসে আমাদের দাবি শুনবেন। আমরা আমাদের দাবিগুলোর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তিনদিনের একটি আল্টিমেটাম ও হিট প্রকল্পের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে আজকের মধ্যেই লিখিত দিতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আইএ