• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা

কাল-পরশুর মধ্যে অনেক বড় কিছু জানতে পারবেন


নিজস্ব প্রতিবেদক:  নভেম্বর ১৩, ২০২৪, ০৮:৩২ পিএম
কাল-পরশুর মধ্যে অনেক বড় কিছু জানতে পারবেন

ফাইল ছবি

ঢাকা: সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে অনেক বড় কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে। তিনি বলেন, আমি খুবই ভাগ্যবান যে আমি একটা গ্রেট টিম পেয়েছি। আমরা কিছু এক্সাইটিং এবং ইম্পর্টেন্ট প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছি। আপনারা হয়তো আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে জানতে পারবেন।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, আমি বাইরে থেকে জানতাম যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় একটি ঘুমন্ত মন্ত্রণালয়। ভেতরে তো এসে দেখি এখানে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে।

তিনি বলেন, এখানে আমার আসার মূল কারণ হচ্ছে নতুন বাংলাদেশের কী ন্যারেটিভ আমরা নির্মাণ করবো, ন্যারিটিভ কথা দিয়ে নির্মাণ হবে না; নির্মাণ হবে চলচ্চিত্র দিয়ে, থিয়েটার দিয়ে, গান দিয়ে, এসব দিয়ে।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, আমার চোখে কখনো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাজ চোখে পড়েনি। অনুষ্ঠান করতো খুব। একটা ন্যারেটিভ চেঞ্জ করা, মানুষের মাথায় একটা নতুন গল্প তৈরি করা- এটা আমি খুব একটা দেখিনি। আমি এসে দেখলাম যে ব্যাপক সুযোগ আছে।

তিনি বলেন, আমি একটা কথা বলেছি, আইন-কানুনের ব্যাপারটা আপনারা দেখবেন। আমরা কেউ কোনদিন যেন আইনের বাইরে না যাই। আইনের মধ্যে থেকে আমি যে স্বপ্নগুলো দেখছি, এটা কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, আপনারা আমাকে বলেন। আমি আমার মন্ত্রণালয়ের প্রত্যেকের কাছ থেকে ভালো সমর্থন পাচ্ছি।

আপনি কী কী বিষয় অগ্রাধিকার দেবেন- এ বিষয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, কাল বা পরশুর মধ্যে আপনারা অনেক বড় কিছু জানতে পারবেন।

‘আমার অগ্রাধিকার হচ্ছে, আমরা এমন একটা বাংলাদেশের ন্যারেটিভ তৈরি করতে চাই যে বাংলাদেশে বহু ধর্ম, বহু ভাষা, বহু জাতিগোষ্ঠী এক জায়গায় থাকে। আমাদের একটা সম্প্রীতির কথা বলে এবং আমাদের সম্পর্কে যে নানা উল্টাপাল্টা ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে বাইরে, সেই ন্যারেটিভগুলো স্ট্রংলি কাউন্টার করাটা আমার কাজ।’

সংস্কৃতি উপদেষ্টা আরও বলেন, দ্বিতীয় একটা মেজর কাজ হচ্ছে, গত ১৫ বছর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চাদরে ঢেকে কিভাবে দুঃশাসনকে জায়েজ করা হয়েছে, কিভাবে গুম, খুনকে জায়েজ করা হয়েছে, ব্যাংক লুটকে জায়েজ করা হয়েছে! এখন আর ১০ কোটি টাকার কোনো খেলা নেই, দুর্নীতি সব হাজার কোটি টাকা থেকে শুরু হয়। এই গল্পগুলো শুধু দেশের মানুষ নয়, দেশের বাইরেও তুলে ধরতে হবে।

‘এই দুঃশাসনের ন্যারেটিভ যদি মানুষ জানে, তারা (আওয়ামী লীগ) কী করেছিল, এটাই তো জুলাই স্পিরিট। শহীদেরা তো শহীদ হয়েছে এই কারণে। সবাইকে বলা এটা যেন আর না ঘটে। না ঘটে সেটা বলতে হলে আগে জানাতে হবে কী ঘটেছিল’- বলেন উপদেষ্টা।

আইএ

Wordbridge School
Link copied!