Menu
ঢাকা : ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. কাজল মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) রাত দেড়টার দিকে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স তাকে নিয়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. রুহুল মোক্তাদিরসহ অনেকেই।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গত ৫ আগস্ট মাথায় গুলিবিদ্ধ হন কাজল মিয়া। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করে এতদিন চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার খুব বেশি উন্নতি হয়নি। এখন তার উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ভেজথানি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, কাজলের ব্রেনের বাম পাশে অনেক ক্ষত হয়ে গেছে। ডান পাশ প্যারালাইসিস হয়ে গেছে। উন্নত ফিজিওথেরাপি দেওয়ার উদ্দেশেই তাকে থাইল্যান্ড পাঠানো হয়েছে। যা চিকিৎসা দেওয়ার আমরা তা দিয়ে দিয়েছি। এর বাইরে আর কোনো চিকিৎসার দরকার বলে আমি মনে করি না।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, এখনও অনেকেই গুরুতর আহত। কারও মাথায় গুলি লেগেছে, কারও পাঁজরে লেগেছে। অনেককে শারীরিক জটিলতার কারণে দেশের বাইরে পাঠানো যাচ্ছে না। এমন আরও অন্তত ২০ জন রয়েছে, যাদের দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে হবে।
নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবির হিমু গণমাধ্যমকে জানান, কাজলের মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এইচডিইউতে তিন মাসের চিকিৎসায় ধীরে ধীরে তার অবস্থার উন্নতি হলেও, বাঁ হাত ও পা পুরোপুরি অচল হয়ে যায়। তার রোবটিক ফিজিওথেরাপি প্রয়োজন। কিন্তু দেশে সে ব্যবস্থা নেই বলে তাকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মেডিকেল বোর্ড।
এমটিআই
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT