ঢাকা : বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সারা দেশে ৪০ লাখ অটোরিকশা থেকে দৈনিক ১১০ কোটি টাকা করে হিসাবে বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকা অবৈধভাবে চাঁদা আদায় হতো বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সোমবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ছোট যানবাহন চলাচল নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘এই চাঁদাবাজির কারণে রাজধানীর প্রধান সড়কসহ দেশের সব সড়ক-মহাসড়ক, নগর-বন্দরে মোটরচালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্য বেড়ে চরম আকার ধারণ করেছে। পতিত আওয়ামী লীগের অনেক এমপি, মন্ত্রীও এই অবৈধ অটোরিকশা পরিচালনা করে অবৈধ চাঁদাবাজিতে যুক্ত ছিলেন, তাই এ খাতের নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।’
এদিকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিবন্ধন ও লাইসেন্স দেওয়া গেলে বছরে ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হতে পারে বলে মনে করছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
এ প্রসঙ্গে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘দেশের সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে ৪০ লাখ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিবন্ধন ও চালকের হাতে নামমাত্র ফিতে লাইসেন্স প্রদান করা গেলে বছরে ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হতে পারে। তাছাড়া, অবাধে আমদানি, স্থানীয় গ্যারেজে সহজলভ্যভাবে তৈরি করে সহজে রাস্তায় নামানোর অবাধ সুযোগ থাকায় এবং দেশে অন্যান্য খাতে সহজে কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায়, স্বল্পপুঁজিতে লাখ লাখ শ্রমজীবী মানুষ অটোরিকশা কিনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছে।’
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব আরও বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে কৃষি খাতে শ্রমিক সংকটসহ কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। প্রশিক্ষণবিহীন লাখ লাখ শ্রমজীবী মানুষের হাতে এসব অটোরিকশার স্টিয়ারিংয়ের কারণে সড়ক নিরাপত্তায় ভয়ানক ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, রিকশা, ব্যাটারিরিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক খালেকুজ্জামান লিপন, চট্টগ্রাম ইলেকট্রিক থ্রি-হুইলার যানবাহন মালিক ও চালক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিক মিয়া প্রমুখ।
এমটিআই