ময়মনসিংহ: সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, শীতকালীন প্রশিক্ষণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের খোলা জায়গায় প্রশিক্ষণের কাজ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণের সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের কাছে যায়। অসহায় মানুষের জন্য জনকল্যাণমূলক কাজ করে সেনাবাহিনী। এতে মানুষ অনেক উপকৃত হয়। ভবিষ্যতেও মানবিক কাজে জনগণের পাশে থাকবে সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কাকনী ইউনিয়নের শিমুলিয়া এলাকায় খোলা জায়গায় অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ ও যৌথ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন তিনি। এসময় ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এ মোতায়েন থাকার পাশাপাশি যৌথ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী সেনাবাহিনীর মহড়া সরেজমিনে পরিদর্শন ও উপভোগ করেন সেনাপ্রধান।
এতে উপজেলার হাজার হাজার মানুষ সেনাবাহিনীর এ কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন।
উপস্থিত জনতা তাদেরকে স্বাগতম জানান। সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য সেনাসদস্যরা গুরুত্বসহকারে শোনেন। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী সেনাসদস্যদের ভূয়সী প্রশংসা করেন সেনাপ্রধান।
তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের জন্য সেনাসদস্যরা যখন বাইরে যায়, তখন জনগণ সেনাবাহিনীর অনেক কাজকে প্রশংসা করেন।
সেনাপ্রধান বলেন, প্রচণ্ড শীতে যারা কষ্টে আছেন, তাদের সব সময় খোঁজ-খবর রাখছেন সেনাবাহিনী। সারা দেশে এখন সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণ চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফুলপুর-তারাকান্দাসহ সারা দেশে কম্বল বিতরণ করছি।
জানা যায়, সেনাপ্রধান ওযাকার-উজ-জামান তারাকান্দার শিমুলিয়া মাঠে পৌঁছলে সেনাবাহিনীর ১১ পদাতিক ডিভিশনের ময়মনসিংহের এরিয়কমান্ডারসহ সেনাকর্মকর্তারা সেনাপ্রধানকে অভ্যর্থনা জানান। অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধানের সফরসঙ্গী ছিলেন এম জিও মেজর জেনারেল মো. আবু বক্কর সিদ্দিক খাঁন এনডিসি, ডিএমডি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.হুমায়ুন কবীর এসই ডিপি (বার) সেনাপ্রধানের নিরাপত্তা অফিসার লে: কর্নেল আশিকুল হক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. টিপু সুলতান প্রমুখ।
এদিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ফুলপুর-তারাকান্দা উপজেলায় ৬০০ অসহায় ও শীতার্ত নারী-পুরুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
এসএস