Menu
ঢাকা : গতকাল মঙ্গলবার মাইলেজের ভিত্তিতে পেনশন ও আনুতোষিক দেওয়া এবং নিয়োগপত্রের দুই শর্ত প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা (ট্রেনের চালক, সহকারী চালক, গার্ড ও টিকিট পরিদর্শক)।
কর্মবিরতির কারণে সারাদেশে দিনভর বন্ধ ছিলো ট্রেন চলাচল। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয় হাজার হাজার সাধারণ যাত্রীদের।
তবে মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটায় রেল উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর কর্মবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন রেলের রানিং স্টাফরা। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার ভোর থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচল।
এদিকে রানিং স্টাফদের কর্মবিরতিতে মঙ্গলবার ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় কমলাপুর স্টেশনের এক কোটি ২০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন। এছাড়া কোচ ব্যালান্সের কারণে জয়ন্তিকা ও বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের বুধবারের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান তিনি।
শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমাদের স্টেশন থেকে সাধারণত প্রতিদিন এক কোটি ১৫ লাখ থেকে এক কোটি ২০ লাখ টাকা আয় হয়। গতকাল বন্ধ থাকায় এই ক্ষতি হয়েছে।’
এছাড়া যে দুটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে সেগুলোর টাকা যাত্রীদের রিফান্ড করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা অনলাইনে কেটেছেন তাদের অনলাইনে ফেরত দেওয়া হবে, যারা সরাসরি কাউন্টার থেকে কিনেছেন তাদের সরাসরি দেওয়া হবে।’
মধ্যেরাতে কর্মবিরতি প্রত্যাহার হওয়ায় পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন চার ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়েছে। অন্যান্য ট্রেনের এক থেকে দেড় ঘণ্টা শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে বলে জানান স্টেশন ম্যানেজার।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু গভীর রাতে সিদ্ধান্ত হয়েছে (ধর্মঘট প্রত্যাহার), তাই যাত্রীদের এসএমএস দেওয়া হয়নি। যারা যেতে পারেননি, তাদের বিষয়ে কী করা যায় আমরা তা দেখছি।’
এমটিআই
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT