• ঢাকা
  • শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩০
ঈদে বাড়ি ফেরা

কাউন্টার-অনলাইনে সহজেই মিলছে বাসের আগাম টিকেট


বিনোদন প্রতিবেদক মার্চ ১৪, ২০২৫, ০৪:১১ পিএম
কাউন্টার-অনলাইনে সহজেই মিলছে বাসের আগাম টিকেট

ঢাকা : রোজার ঈদের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু করেছে রাজধানীর শ্যামলী, কল্যাণপুর ও গাবতলী এলাকার উত্তর ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলগামী বাস কাউন্টারসহ বিভিন্ন স্থানে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ঈদের আগাম টিকেট সংগ্রহ করতে দেখা গেছে যাত্রীদের।

ভাড়া কিছু বাড়তি নেওয়ার অভিযোগ থাকলেও, টিকেট যে মিলছে তাতেই খুশি বেশিরভাগ মানুষ।

কাউন্টারগুলোর কর্মীরা বলছেন, মাঝে স্বাধীনতা দিবসের ছুটি পড়ায় এবারে ঈদ ঘিরে ২৫ মার্চ থেকেই বাসে যাত্রা শুরু হচ্ছে। ঈদযাত্রা ছয় থেকে সাতদিনব্যাপী হওয়ার কারণে এখন পর্যন্ত যারা কাউন্টারে আসছেন তারা কেউ খালি হাতে ফিরছেন না।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর শ্যামলী, কল্যাণপুর ও গাবতলী এলাকার উত্তর ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলগামী বাস কাউন্টারগুলো ঘুরে কেবল বড় অপারেটরগুলোর কাউন্টারের সামনেই ভিড় দেখা গেছে।

আর ছোট অপারেটরের কাউন্টারগুলোয় তেমন ভিড় নেই। তাদের বেশিরভাগ টিকেট অনলাইনে বিক্রি হয়েছে, কিছু টিকেট কাউন্টারে এসে কিনছেন যাত্রীরা। আর শেষ সময়ে তারা ট্রিপ বাড়াতে পারলে সেগুলোর টিকেট তখনই বিক্রি হবে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে শ্যামলী রিংরোডের বাস কাউন্টারগুলোতে গিয়ে শুধু হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টারে ভিড় দেখা গেল। সেখান থেকে শুধু উত্তরের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও জেলার টিকেট বিক্রি হচ্ছিল। টিকেট কিনতে যাত্রীদের লাইন কাউন্টারের সামনে থেকে ছাড়িয়ে ফুটপাতে গিয়ে ঠেকে।

ভিড় ছিল হানিফ এন্টারপ্রাইজের বালুরমাঠের প্রধান কার্যালয়ের কাউন্টারেও। সেখান থেকে বগুড়া, রংপুর, কুড়িগ্রামসহ উত্তরের সব জেলার টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। ২৮-২৯ মার্চে সবচেয়ে ভিড়ের দিনগুলোর টিকেটও বিক্রি হয়েছে এদিন।

হানিফ এন্টারপ্রাইজের মহাব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন বলছেন, এবার ২৬ মার্চের সরকারি ছুটির কারণে ঈদযাত্রা শুরু হচ্ছে ২৫ মার্চ থেকেই। ছয়-সাতদিন ব্যাপী ঈদযাত্রা হওয়ায় তারাও টিকেট দিতে পারছেন।

এই পরিবহনের শতভাগ টিকেট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

হানিফের কাউন্টার থেকে বের হয়ে নওগাঁর যাত্রী শান্ত রহমান জানিয়েছেন তিনি টিকেট কিনেছেন সাতটা।

আগে নওগাঁর ভাড়া ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা করে হলেও ঈদের সময় নেওয়া হচ্ছে ৮২০ টাকা করে।

তবে এ নিয়ে খেদ নেই তার, তিনি খুশি টিকেট পেয়ে।

টিকেটের বাড়তি দাম নিয়ে হানিফ এন্টারপ্রাইজের জিএম মোশাররফ হোসেন বলছেন, আমরা টিকেটের বাড়তি কোনো দাম রাখছি না। এমনি সময় বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কমই রাখা হয়। ঈদের সময় বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হয়।

২৫ মার্চের রংপুরের টিকেট কিনে আনিসুর রহমান বলছেন, তার বেশি সময়ও লাগেনি।

টিকেট এভেইলেবেল। রংপুরের টিকেট কাটতে হল ৮৬০ টাকা করে। এমনিতে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা নেওয়া হয় রংপুরের টিকেটের দাম।

টিকেটের দাম নিয়ে শ্যামলী পরিবহনের রিংরোড কাউন্টারের কর্মী মো. সোহাগ বলছেন, ঈদের সময় আমরা বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়াই নিই। তবে যারা অনেক বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করছেন তাদের টিকেটে দেখবেন তিনি হয়ত মাঝখানের কোন স্টপেজে নেমে যাবেন, কিন্তু টিকেট কিনেছেন আরও লম্বা রুটের গাড়িতে। ঈদের সময় অনেক কোম্পানি সব সিটের জন্যই লাস্ট স্টপেজের ভাড়াটা নিয়ে রাখে।

যেমন ধরেন গাড়িটা যদি পঞ্চগড়ের হয় তাহলে কেউ যদি রংপুরে নেমে যান সেই ক্ষেত্রে পঞ্চগড়েরর ভাড়াটা নেওয়া হয় তার কাছ থেকে। আবার যিনি রংপুরের গাড়িতে টিকেট কাটবেন দেখবেন তার ভাড়াটা ঠিকই আছে।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!