• ঢাকা
  • শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩০
সংশোধনী পাস

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করলে ৭ বছরের কারাদণ্ড


নিজস্ব প্রতিবেদক:  মার্চ ২০, ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করলে ৭ বছরের কারাদণ্ড

ঢাকা: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী পাস হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সংশোধিত আইনে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের সাজা ৭ বছর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচনা শেষে এটি পাস হয়।

এর আগে সোমবার (১৭ মার্চ) আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, শুধু শিশু ধর্ষণ মামলার জন্য আলাদাভাবে বিচার করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের বিধান রাখা হচ্ছে।

ওইদিন আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনের বিষয়ে বিশেষ বৈঠকে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন আইনের সংশোধন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সভায় শিশুদের ধর্ষণ মামলার আলাদাভাবে বিচার করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল স্থাপনসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্মতি নিয়ে প্রতারণামূলক কিংবা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্মতিক্রমে যে ধর্ষণের বিচার সেটা একটা আলাদা অপরাধ। 

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলার সাজা সর্বোচ্চ ৭ বছর করা হয়েছে।  

সম্মতি ছাড়া ধর্ষণের ঘটনাকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হবে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিচার এবং তদন্তের সময় কমানো হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে কিছু সংজ্ঞা আনা হয়েছে। মামলার সংজ্ঞা পরিবর্তন করে শুধু পুরুষ কর্তৃক নয়, যে কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণকে শাস্তিযোগ্য করা হচ্ছে। এছাড়া ধর্ষণের সংজ্ঞাকে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। বলাৎকারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শুধু প্রকৃত পেনিট্রেশন নয়, যে কোনো বস্তু দ্বারা আঘাত কিংবা পায়ুপথে বা যে কোনোভাবে যদি ধর্ষণ করা হয় তা ধর্ষণ বলে গণ্য হবে।

আইএ

Wordbridge School
Link copied!