• ঢাকা
  • বুধবার, ০২ এপ্রিল, ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩০

ঈদযাত্রার দুর্ভোগ এবার শুধুই স্মৃতি, সব পথেই স্বস্তি


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ৩০, ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
ঈদযাত্রার দুর্ভোগ এবার শুধুই স্মৃতি, সব পথেই স্বস্তি

ঢাকা : একটি বেসরকারি কোম্পানির কর্মকর্তা শফিউর রহমান রাজধানীর আরামবাগ থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত গেছেন দুই ঘণ্টায়। এমন ঘটনা গত এক দশকের ঈদযাত্রায় দেখেননি বলে বিস্ময়ের ঘোর কাটছিল না তার।

যা ঘটেছে তা বিশ্বাসই হচ্ছে না। লাইফে এত নিবির্ঘ্নে ঈদযাত্রা করতে পারিনি কখনও। আরামবাগ থেকে কুমিল্লা একটানে মাত্র দুই ঘণ্টায় চলে এলাম। এরমধ্যে ইফতারের সময় ছিল ৪০ মিনিট। গত ১০ বছর কখনও এমন হয়নি।

অবাক করা শুক্রবারের এই যাত্রার বর্ণনা এভাবেই বলছিলেন শফিউর। বলেন, কোনো বছর জ্যাম কমবেশি ছিল। আমার মনে হয় এবার প্রশাসন বেশ অ্যাক্টিভ ছিল। আসার পথে রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় ট্রাফিক পুলিশের গাড়ি দেখেছি।

তার কথার প্রতিধ্বনি মিলল হানিফ এন্টারপ্রাইজের মহাব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেনের কথায়। বলছিলেন গত ৪০ বছর এমন ঈদযাত্রা দেখেননি তিনি।

শনিবার (২৯ মার্চ) তিনি বলেন, ঈদের ছুটি শুরু কার্যত ২৫ মার্চ রাত থেকেই। লম্বা ছুটির কারণে মানুষকে একসঙ্গে যেতে হয়নি। এর প্রভাব পড়েছে সড়কে।

আমার ৪০ বছরের চাকরিজীবনে ঈদের আগে এত লম্বা ছুটি দেখিনি। মানুষ ধীরে ধীরে সুবিধামত বাড়ি যেতে পারছেন। এ কারণে সড়কেও গাড়ির চাপ কম। তবে ঢাকা ছেড়ে নবীনগর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত যানজটে পড়তে হয়েছে। শুক্রবারও ওই রাস্তা পার হতে ৭-৮ ঘণ্টা লেগেছে। আজ (শনিবার) আবার যানজট খুব একটা নেই।

ঢাকার মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রীদের ভিড় অন্য সময়ের তুলনায় কম। চালক, হেলপাররা বলছেন, দীর্ঘ ছুটি থাকায় এবার ঈদযাত্রায় তার প্রভাব দেখা গেছে। সবাই একসঙ্গে বাড়ির পথ ধরেননি বলে উপচেপড়া সেই ভিড় দেখা যায়নি।

শুধু বাসে নয়, ট্রেন ও লঞ্চেও ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ এড়িয়ে ঝামেলাবিহীনভাবে গ্রামের পথে রওনা হয়েছেন মানুষ। অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে স্বস্তিদায়ক যাত্রার কথা বললেন কমলাপুর স্টেশনের এক যাত্রী। দেশের প্রধান এ স্টেশন থেকে সব ট্রেন মোটামুটি সঠিক সময়ে ছেড়ে গেছে।

যাত্রী ও যানবাহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঈদের আগে লম্বা সরকারি ছুটি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, বিভিন্ন মহাসড়কের অসমাপ্ত অংশ খুলে দেওয়ায় এবারের ঈদযাত্রা অনেকটাই ঝঞ্ঝাটমুক্ত। ট্রেনেও এ বছর সূচি বিপর্যয়ের খবর পাওয়া যায়নি, ভিড় কম ছিল লঞ্চেও।

তবে সাভারের নবীনগর থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত মাঝেমধ্যে যানজট লেগেছে। কিছু রুটে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাড়তি ভাড়া আদায় ঠেকাতে টার্মিনাল এবং বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টারে অভিযানও চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এরমধ্যেই চিরায়িত উপচেপড়া ভিড়, যানজট, ক্লান্ত হয়ে টার্মিনাল ও স্টেশনে গাড়ির জন্য অপেক্ষা কিংবা কার আগে কে লঞ্চে উঠবেন সেই হুড়োহুড়ির দৃশ্য এবার ছিল অনুপস্থিত।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী সোম বা মঙ্গলবার বাংলাদেশে রোজার ঈদ পালিত হবে। সোমবার ঈদ ধরেই বাড়ি ফিরছেন বেশির ভাগ। যে কারণে বৃহস্পতিবার অফিস শেষে তড়িঘড়ি করে যারা যাননি এবং নয় দিন ছুটি শুরুর প্রথম দিন শুক্রবারের ভিড় এড়াতে যারা চেয়েছিলেন তারা রাজধানী ঢাকা ছাড়েন শনিবার।

এদিন যারা ঢাকা ছেড়েছেন তাদের সবাই প্রায় একপ্রকার স্বস্তিতেই গন্তব্যের পথে রওনা হয়েছেন কিংবা প্রিয়জনের কাছে পৌঁছে গেছেন। এখন শুধু চাঁন রাতে (ঈদের আগের রাতে) বাড়ির পথ ধরবেন কিছু মানুষ।

এবার অগ্রিম টিকেট ছেড়ে ২৪ মার্চ (সোমবার) থেকে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে। ২৬ মার্চ (বুধবার) ছিল সরকারি ছুটি। এতে যাত্রীদের অনেকেই মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। 

বৃহস্পতিবার দুপুরের পর ঢাকার বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার এবং টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে। পরদিন শুক্রবারও চাপ ছিল যাত্রীর। তবে ওই দুই দিনও সড়কে বা ট্রেনের যাত্রা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ছিল আরামের।

একটি সংবাদপত্রের সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান বলেন, শনিবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টায় ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বের হয়ে দেড় ঘণ্টায় শরীয়তপুরের জাজিরার বাড়িতে পৌঁছান তিনি। সড়কে কোথাও তেমন যানজট পাননি।

এক্সপ্রেসওয়ের ই্কুরিয়া, হাসনাবাদ, চুনকুটিয়ায় বাস স্টপেজে কিছু বাস রেখে যাত্রী তুলছিল। এতে রাস্তায় জটলা তৈরি হয়, এটাকে ঠিক যানজট বলে না। এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজায়ও আমি খুব বেশি লাইন দেখিনি। এবারের ঈদযাত্রার আসলেই অন্যবারের চেয়ে ব্যতিক্রম। লম্বা ছুটির পাশাপাশি এবার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও মুভমেন্ট করছেন না। তারা দেশের জনসংখ্যার একটা বিরাট অংশ, এটাও কারণ হতে পারে।

শনিবার (২৯ মার্চ) ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের ইউনাইটেড পরিবহনের যাত্রী মিরাজ হোসেন বলেন, এবার বেশি ভিড় নাই। ভাড়াও বেশি নিচ্ছে না। ময়মনসিংহের ভাড়া অন্য সময় ৩১০ টাকা, আজও ওই টাকাই নিয়েছে। রাস্তার অবস্থা এখন কেমন বলতে পারব না। সামনে গেলে বোঝা যাবে।

মহাখালী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটের গ্রামীণ ট্রাভেলসের চালক ফেরদৌস আলম বলেন, এবার দীর্ঘ ছুটির সঙ্গে প্রশাসনের তৎপরতা বেড়েছে। এর প্রভাব সড়কে পড়েছে।

প্রশাসন তৎপর আছে এবার। আর রাস্তাগুলো সব খুলে দিয়েছে, এ কারণে চলা সহজ হয়ে গেছে। মেইন পয়েন্টে পুলিশ একটু খেয়াল রাখলে জ্যাম হবে না। গত কয়েকদিনে এটা দেখেছি। তবে চন্দ্রায় জ্যাম আছে, তাও আগের মত না। মেইন কারণ এইবার লম্বা ছুটি পড়েছে, মানুষ আইজ না গেলে কাইল যাচ্ছে, এতে সড়কে গাড়ির চাপও কম।

শুধু মহাখালী নয় গাবতলী বা সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে গিয়েও যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়নি।

সায়েদাবাদে দক্ষিণের জেলাগুলো এবং নোয়াখালী ও কুমিল্লার বিভিন্ন রুটে সামান্য চাপ থাকলেও সিলেটের বিভিন্ন রুটে যাত্রীর চাপ একেবারেই কম থাকার তথ্য দেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রাম রুটের সেন্টমার্টিন পরিবহনের বাসের সহকারী মোহাম্মদ ফজলু সায়েদাবাদ জনপথ মোড়ে দাঁড়িয়ে যাত্রী ডাকাডাকি করছিলেন।

তিনি বলেন, এবার ছুটি বেশি। আগেই গেছে অনেকে। ট্রেনে তো চট্টগ্রাম যাওয়া সহজ। ট্রেনেই গেছে বেশি। এখন যাত্রী পাওয়া যায় না। রাতের ট্রিপে যাত্রী ফুল হইতে পারে।

সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে যাওয়া কিছু পরিবহনের বাসে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হয়েছে।

ঈগল পরিবহনের সুপারভাইজার লিটন সরকার বলেন, রেগুলার ভাড়া তো ৬০০ টাকা, ৭০০ টাকা নিচ্ছি। ৭০০ টাকায় বরিশালও যেতে পারবেন, তার পরের স্টপেজ ভান্ডারিয়াও যেতে পারবেন। আমার লাস্ট স্টপেজ তো ভাণ্ডারিয়া।

ঠিক সময়ে ছাড়ছে ট্রেন : এবার ঈদে ট্রেনযাত্রাও অন্য সময়ের চেয়ের স্বস্তিদায়ক ছিল বলে তুলে ধরেন যাত্রীরা। কমলাপুর থেকে সব ট্রেন মোটামুটি সঠিক সময়ে ছেড়ে যাওয়ায় সুচির গড়বড়ের চক্করেও পড়তে হয়নি তাদের।

কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রতিবার স্টেশনে সঠিক টাইমে এসে ধরা খাইতাম। এবার বাসা থেকে দেরিতে বের হয়ে স্টেশনে এসে দেখি ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। দৌঁড়ে ধরলাম, অল্পের জন্য মিস করি নাই। গত চার বছরে এই প্রথম কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস সঠিক সময়ে ছাড়তে দেখলাম। অন্যান্য বছর ১০টা ১১টা বা ১২টায় ট্রেন কুড়িগ্রাম আসত। শনিবার সকাল ৭টায় কুড়িগ্রাম এসেছে, নতুন সেতুর কারণে এটা হতে পারে।

তবে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের চাকায় সমস্যা থাকায় সেটি দেড় ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে।

রাজশাহীগামী যাত্রী রাকিবুল হাসান বলেন, উত্তরবঙ্গে ঈদযাত্রা মানেই ভোগান্তি, কষ্টের গল্প। সড়কপথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট, রেলে সিডিউল বিপর্যয়। এবার তেমন কিছু শুনিনি।

কমলাপুর স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো.শাহাদাত হোসেন বলেন, ঈদযাত্রার শুরু থেকে শনিবার পর্যন্ত সবমিলিয়ে অবস্থা খুবই ভালো। কোনো ট্রেন লেট করে নাই। যমুনা রেলসেতু চালু হওয়ায় উত্তরবঙ্গের ট্রেনের জন্য ভালো হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, খুলনার ট্রেনও সঠিক সময়ে ছেড়ে গেছে।

লঞ্চেও ভিড় কম : পদ্মা সেতু চালুর পর এমনিতেই চাপ কম সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। দীর্ঘ ছুটিতে এবার ঈদের আগে সদরঘাটের সেই চিরচেনা ভিড়ও নেই। ঢাকা থেকে ঘরমুখো মানুষের মূল ভিড় বৃহস্পতিবার শুরু হলেও তা দেখা যায়নি নদীপথে।

টানা কয়েকদিন যাত্রী খরার পর শনিবার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের চাপ বাড়ে। তবে তা লঞ্চের তুলনায় কম বলে আক্ষেপ কর্মীদের।

শনিবার সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটে যাত্রীদের উপস্থিতি আগের চেয়ে বেড়েছে। সকালে চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, হাতিয়া, পটুয়াখালীগামী পন্টুনে বেশি ভিড় ছিল।

এমভি সুন্দরবন-১৫ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. দুলাল হোসেন বলেন, আজকে পুটুয়াখালী রুটে যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় প্রশাসনের অনুরোধে আমরা এই লঞ্চটি ছাড়ছি। ঘাটের লাইনের লঞ্চ যাত্রীর সামলাতে পারছে না, তাই এই লঞ্চ আজকে পটুয়াখালী যাবে। এটি বিশেষ লঞ্চ হিসেবে যাচ্ছে।

পটুয়াখালীর বাউফলের বগাগামী মো. আরিফ খান বলেন, আমার সাথে আরও কয়েকজন আছে। আমরা কেবিনে যাব। বাসে আরামে যাওয়া যায় না। এজন্য লঞ্চে যাই। কেবিনে কয়েকজন মিলে একসাথে গেলে কিন্তু ভাড়া বেশি লাগে না।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ, বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক (ঢাকা নদী বন্দর) আবু ছালেহ মোহাম্মদ এহতেশামুল পারভেজ বলেন, দীর্ঘ ছুটি পাওয়ায় লঞ্চযাত্রাও আগের চেয়ে সহজ হয়েছে। পাশাপাশি বিআইডব্লিউটিএর কঠোর নজরদারি ছিল।

শনিবার (২৯ মার্চ) পর্যন্ত যাত্রীরা খুবই ভালোভাবে যাচ্ছেন। লঞ্চ ব্যবস্থাপনা ভালো হয়েছে। প্রতিবার লঞ্চের অভাবে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন এবার তা হয়নি। তৈরি পোশাক কারখানাগুলো ধাপে ধাপে ছুটি দেওয়ায় হঠাৎ প্রেসার পড়েনি। আর দীর্ঘ ছুটি থাকায় লোকজনও ধীরেসুস্থে এসেছে। এ কারণে আমাদের জন্য ব্যবস্থাপনা করতে সুবিধা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমরা বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ আমরা পাইনি। মালিকরা আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে বাড়তি ভাড়া নেবে না।

হরিষে বিষাদ নবীনগর-চন্দ্রা : এবার ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথে মহাসড়কগুলোর বেশিরভাগ অংশে যানজট তেমন ছিল না। তবে ব্যতিক্রম সাভারের নবীনগর থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত।

এছাড়া গাজীপুর চৌরাস্তা, কালিয়াকৈর ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এলাকায়ও যানজট দেখা গেছে। 

শনিবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যার পরও সেসব এলাকায় যানজট দেখা গেছে।

ঢাকা-রংপুর রুটের হানিফ পরিবহনের চালক মোহাম্মদ আসলাম  বলেন, শুক্রবার চন্দ্রা পাড় হইতে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা সময় লেগেছে। পোশাক কারখানার কর্মীদের নেওয়ার জন্য সড়কে বাস রাখার কারণেই মূলত জট বেশি লাগে। তাছাড়া ওই অংশে এখনও সড়কের কাজ চলতেছে। 

এছাড়া সড়কের আর কোথাও ঝামেলা হয় নাই। শনিবারের অবস্থা আগের দিনের চেয়ে ভালো।

এমটিআই

Wordbridge School

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!