Menu
ঢাকা : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন হোলসিম গ্রুপের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার অঞ্চল প্রধান মার্টিন ক্রিগনার।
বুধবার (৯ এপ্রিল) যমুনায় স্টেট গেস্ট হাউসে তাদের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় দেশের সিমেন্ট ব্যবহারের প্রবণতা, শিল্পের পরিবেশের প্রভাব এবং বাংলাদেশের বাজারে হোলসিমের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। এতে ক্রিগনার বলেন, আমরা বাংলাদেশে বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদনে সক্ষম করতে ক্রমাগত সহায়তা প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ।
এ সময় তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, কম্পানি ছাতকের কারখানায় জ্বালানি উৎস হিসেবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার করে। এই প্রক্রিয়ায় পরিবেশগত প্রভাব নেই।
হোলসিম টেকসই সমাধান প্রযুক্তির একটি বিশ্বব্যাপী পথিকৃৎ, যা আমরা বাংলাদেশেও স্থাপন করছি উল্লেখ করে ক্রিগনার বলেন, কোম্পানির অন্যান্য দেশের উদ্ভিদগুলিতে কার্বন ক্যাপচার প্রকল্প আছে, যা বাংলাদেশেও প্রতিরূপ করা যেতে পারে।
গত বছর দেশে শিল্পের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগের কথা উল্লেখ করেন বাংলাদেশ অপারেশনে সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল চৌধুরী।তিনি আগামী কয়েক মাস মধ্যে একটি উন্নতি আশা করেন। তিনি কোম্পানির সম্প্রতি বাংলাদেশে এগ্রিগেট প্রবর্তনের কথা তুলে ধরেন, যা আশা করেন দেশের শত কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
অধ্যাপক ইউনূস ল্যাফারজ প্ল্যান্ট এ অপুনর্বাসিত প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিবেশের প্রভাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি আশ্বাস পেয়েছেন, জ্বালানি হিসেবে প্লাস্টিক ব্যবহার করলে এই অঞ্চলে কার্বন নিঃসরণ হবে না।
প্রধান উপদেষ্টা দেশে হোলসিম বিনিয়োগকে স্বাগত জানান এবং সরকারের ব্যবসাপন্থি এবং বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ অবস্থান নিশ্চিত করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, এসডিজি কো-অর্ডিনেটর লামিয়া মোরশেদ, এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সিরাজ উদ্দিন সাথী।
এমটিআই
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT