ঢাকা : ১৫ আগস্ট তালেবান বাহিনীর রাজধানী কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে আবসান ঘটেছে আফগানিস্তানের দীর্ঘ দুই দশকের রক্তাক্ত অধ্যায়ের। গত শতাব্দীর সত্তর দশকের একেবারে শেষ প্রান্তে প্রতিবেশী তৎকালীন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়নের সামরিক অভিযানের মধ্য দিয়ে মূলত আফগানিস্তানে বিদেশি দখলদারিত্বের শুরু। ১৯৭৮ সালে সম্পাদিত ২০ বছর মেয়াদি সোভিয়েত-আফগানিস্তান মৈত্রী চুক্তির শর্তানুযায়ী ‘আফগান জনগণকে রক্ষা’র তাগিদে সোভিয়েত এ অভিযান চালায়। সে সময় ক্ষমতাসীন হাফিজুল্লাহ আমিন নিহত হন। তদস্থলে সোভিয়েত সরকারের বিশ্বস্ত শিখণ্ডী বাবরাক কারমাল দেশটির ক্ষমতায় আসেন। সোভিয়েত দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় আফগানিস্তানের জনগণের একটি অংশ। তারা প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করে। গঠিত হয় মুজাহিদ বাহিনী, পরে তা তালেবান বাহিনী নাম ধারণ করে। এক সময় আল কায়েদা বাহিনী গঠন করে ওসামা বিন লাদেন সে প্রতিরোধ যুদ্ধের শীর্ষস্থানে উঠে আসেন। এ সময় আফগান মুজাহিদদের পাকিস্তানের মাধ্যমে সামরিক ও অন্যান্য সাহায্য-সহযোগিতা করছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের সহযোগিতায় তালেবানরা সোভিয়েত দখলদার বাহিনীকে পর্যুদস্ত করে তোলে। দশ বছর যুদ্ধ পরিচালনার পর সোভিয়েত নেতৃত্বের বোধোদয় ঘটে। তখন দেশটির প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ। তিনি ১৯৮৮ সালে ঘোষণা করেন, সোভিয়েত বাহিনী আফগানিস্তান থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করবে। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে দখলদারিত্ব কায়েম রাখতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের কোপানলে পড়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। অবশেষে ১৯৮৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আফগাস্তািন থেকে সোভিয়েত সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৫ মে ১৯৮৯। দীর্ঘ দশ বছরের দখলদারিত্বে ২০ হাজার সৈন্য হারানো ও বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনাশ ছাড়া সোভিয়েত ইউনিয়নের কোনো লাভ হয়নি। বরং অপ্রয়োজনীয় ওই যুদ্ধ চালাতে গিয়ে দেশটির অর্থনৈতিক ভিত নড়বড়ে হয়ে পড়ে। যার পরিপ্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত সোভিযেত ইউনিয়ন ভেঙে যায়।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পশ্চাদ্পসারণের পর সেখানে তালেবান নেতা মোল্লা ওমরের নেতৃত্বাধীন সরকার গঠিত হয়। তারা ইসলামী আইন অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিলে যুক্তরাষ্ট্র প্রমাদ গোনে। মধ্য এশিয়ায় প্রভুত্ব বিস্তারে আফগানিস্তানকে কবজায় রাখা তাদের জন্য ছিল অত্যন্ত জরুরি। ফলে নিজেদের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত তালেবান সরকারকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা করে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে আমেরিকার মদতে বেড়ে ওঠা আল কায়েদা বাহিনী প্রধান ওসামা বিন লাদেনও হয়ে ওঠে শিরঃপীড়ার কারণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন আফগানিস্তানকে কবজা করতে তালেবান সরকারকে উৎখাতের চিন্তা করতে থাকে, তখনই সে সুযোগ করে দেয় আল কায়েদা। ২০০১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে বোমা হামলা শুরু করে। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুগামী হয় যুক্তরাজ্য এবং যুদ্ধজোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন-ন্যাটো। এই সম্মিলিত সামরিক শক্তির বিপরীতে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার পিছু হটতে বাধ্য হয়। রাজধানী কাবুলসহ দেশটির একটি অংশে মার্কিন মদতপুষ্ট সরকার গঠিত হয়। বাকি অংশ থাকে তালেবানদের দখলে। তালেবানরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকে। এর মধ্যে তালেবান নেতা মোল্লা ওমর এবং আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন মার্কিন বাহিনীর হাতে নিহত হন। তা সত্ত্বেও তালেবানরা দমে যায়নি। তারা দেশকে বিদেশি শক্তির দখলমুক্ত করতে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকে। অন্যদিকে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে আফগান সরকার জনগণের আস্থা হারাতে শুরু করে। শুধু বিদেশি শক্তির ওপর ভর করে কোনো সরকার যে টিকে থাকতে পারে না, সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আশরাফ গনির সরকার তারা প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
মূলত চলতি বছরের শুরুতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যখন আভাস দিলেন, তারা আর আফগানিস্তানে যুদ্ধ জারি রাখতে ইচ্ছুক নন, তখনই তালেবান বাহিনীর বিজয় অবধারিত হয়ে যায়। আমেরিকা সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও অন্যান্য সহযোগিতার আশ্বাস গনি সরকারকে দিয়েছিল। কিন্তু আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত আশরাফ গনি সরকারের পক্ষে আর যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণামতে চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীর আফগানিস্তান ত্যাগ করার কথা। কিন্তু তার এক মাস আগেই পতন ঘটল আফগান সরকারের। বস্তুত জো বাইডেনের ঘোষণার পরই পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে। একের পর এক এলাকা চলে যেতে থাকে তালেবান বাহনীর দখলে। সর্বশেষ ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুলে তালেবান বাহিনীর প্রবেশের মধ্য দিয়ে দেশটিতে দুই দশকের মার্কিন আধিপত্যের অবসান ঘটে। পুরো আফগানিস্তান এখন তালেবানের দখলে। যদিও পতিত সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ প্রতিবেশী দেশ তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়ে তালেবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তিনি কতটুকু কী করতে পারবেন তা নিয়ে সবারই সংশয় রয়েছে।
এদিকে তালেবান বাহিনী রাজধানীতে ঢোকার আগেই প্রাসাদ ছেড়ে ভেগে যান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। আট গাড়ি নগদ অর্থ নিয়ে একটি হেলিকপ্টারে করে তিনি প্রতিবেশী তাজিকিস্তানে যান। কিন্তু তাজিকিস্তান সরকার তাকে আশ্রয় দিতে অস্বীকার করলে তিনি বিমানের রুট পরিবর্তন করে ওমানে চলে যান। সেখানে তিনি আশ্রয়ের চেষ্টা করছেন। না পেলে শেষ পর্যন্ত তাকে তার প্রভুদের দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই পাড়ি জমাতে হবে। উল্লেখ্য, আশরাফ গনি যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিক ছিলেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে সেই নাগরিকত্ব সমর্পণ করেছিলেন তিনি। তবে তার স্ত্রী ও সন্তানরা এখনো সে দেশের নাগরিক এবং তারা সেখানে আছেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পেতে আশরাফ গনির খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
যে প্রশ্নটি এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে তাহলো, প্রায় তিন লাখ সৈন্যের আফগান সরকারি বাহিনী কেন এক প্রকার বিনাযুদ্ধে তালেবান বাহিনীর কাছে পরাজয় মেনে নিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৈন্য প্রত্যাহারের পরিকল্পনার সঙ্গে এটাও বলেছিলেন যে, তালেবানদের প্রতিহত করতে আফগান বাহিনীকে নিজস্ব শক্তির ওপর দাঁড়াতে হবে। গত জুলাই মাসে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, ২০ বছরে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে দুই ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় করছে। তিন লাখ আফগান সৈন্যকে ট্রেনিং ও যুদ্ধ সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। তাদের এখন একত্র হয়ে নিজেদের ও আফগান জনগণের জন্য লড়াই করতে হবে। কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণার পরপরই আফগান বাহিনীর মনোবল ভেঙে যায়। তারা যুদ্ধ করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। এ বিষয়ে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি একই রকম মতামত দিয়েছেন। জুলাই মাসে তার সংবাদ ব্রিফিংগুলোতে তিনি বার বার আফগান বাহিনীর নিজস্ব দক্ষতা অর্জন ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছিলেন। দুই দশকে মার্কিন প্রশাসন আফগানিস্তানে একটি শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গড়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। তারা চেয়েছিল আফগানিদের একটি শক্তিশালী নিজস্ব বাহিনী গড়ে উঠুক। এজন্যই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে প্রশিক্ষণ দিয়ে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জামে প্রায় তিন লাখ সদস্যের আফগান বাহিনীকে সুসজ্জিত করার চেষ্টা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু মার্কিনিদের সে চেষ্টা সফল হয়নি। আন্তর্জাতিক সমর বিশ্লেষকরা বলছেন, কার্যত আফগান বাহিনী ছিল যুদ্ধে অপরিপক্ব ও নিরুৎসাহী। তারা বেতন ও রেশন নেওয়ার মধ্যেই নিজেদের কর্মকাণ্ড সীমিত রেখেছিল। আর তাদেরকে সঠিক নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কোনো উপযুক্ত নেতাও ছিল না। পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে আফগানিস্তানে কোনো শক্তিশালী রাষ্ট্রিক কাঠামোও গড়ে ওঠেনি। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আফগান সরকার ও সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে যায়। ফলে তালেবান বাহিনীর কাছে তাদের নিঃশর্ত আত্মসমপর্ণের ঘটনাটি ঘটে। তালেবান বাহিনী কতটা হীনবল হয়ে পড়েছিল তার উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে গত ১৪ আগস্ট পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেরাতে। সেখানে হাজার হাজার আফগান সৈন্য তালেবান বাহিনীর কাছে অস্ত্রসমর্পণ করে ক্ষমা ভিক্ষা করেছে।
এদিকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের পরবর্তী গন্তব্য কোথায় তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বিশ্লেষণ চলছে। একই সঙ্গে তালেবানের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে দেশটির নাগরিকদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যেও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে। কেননা নারীর অধিকার, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা, ভিন্নমত চর্চা এবং প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে তালেবানরা এতদিন খুবই কঠোর ও নির্মম নীতি অবলম্বন করে আসছিল। তারা যদি তাদের পূর্বের সে নীতি পরিহার না করে তাহলে আফগানিস্তানে নতুন সমস্যার উদ্ভব হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। তাদের স্মরণে রাখতে হবে, কুড়ি বছর প্রাণপণ যুদ্ধ করার পর শেষ মুহূর্তে এসে একরকম অনায়াসেই তারা বিজয় আর্জন করেছে। এর পেছনে দেশটির জনসাধারণের মৌন সমর্থনের বিষযটি ভুলে গেলে চলবে না। আশরাফ গনির সরকার তাদের কর্মকাণ্ডের দ্বারা জনগণের আস্থা হারিয়েছিল বলেই তালেবান বাহিনী এ সহজ বিজয় অর্জন করতে পেরেছে। তাই এ বিজয়কে সংহত করতে হলে তাদের চিন্তাভাবনা, পরিকল্পনা এবং কর্মপদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল। এ বিষয়ে তালেবানদের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ কাবুল জয়ের দুদিন পর গত ১৭ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে কট্টরপন্থা থেকে তাদের সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন। নারীদের কাজ ও শিক্ষা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সন্ত্রাসীদের আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে না দেওয়া সম্বন্ধে তালেবানের নতুন দৃষ্টিভঙ্গির কথা জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, নারীরা সমাজে খুবই সক্রিয় ভূমিকা রাখবে, লেখাপড়া ও বাইরে কাজ করতে পারবে। তবে সবই হবে শরিয়া আইনি কাঠামোর মধ্যে। জাবিউল্লাহ মুজাহিদ আরো বলেছেন, তারা কোনো প্রতিশোধ নেবেন না। তারা সরকার গঠনের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। সব গোষ্ঠী, সব পক্ষ, সবার অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তার নিশ্চিত করবেন। তবে আফগান মুখপাত্রের এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক মহলে এখনো তেমন একটা গুরুত্ব পাচ্ছে না। তারা মনে করেন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আর্জনের কৌশল হিসেবে তালেবান এসব কথা বলছে। পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে তারা এ বিষয়ে সন্দেহমুক্ত হতে পারছেন না।
তালেবান সরকার কোন পথে এগোবে তা এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। নিবন্ধ লেখা অবধি (১৮ আগস্ট, ২০২১) নতুন সরকারের রূপরেখা সম্বন্ধে কিছুই পরিষ্কার করেনি তালেবান বাহিনী। তবে বার্তা সংস্থাগুলো আভাস দিয়েছে, মোল্লা আবদুল গনি বারাদারা দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হতে পারেন। নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে তারা কোন নীতি অবলম্বন করে তার ওপর শুধু আফগান নয়, ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিও অনেকাংশে নির্ভর করছে। তালেবান সরকার যদি ইসলামী হুকুমত কায়েমের কথা বলে আবারো কট্টরপন্থা অবলম্বন করে, তাহলে তাদের এ বিজয়কে সংহত করা কঠিন হয়ে পড়বে। চলমান বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে যদি তারা এগোনোর চেষ্টা করে, তাহলে টিকে থাকতে পারবে। অন্যথায় তাদের মুখোমুখি হতে হবে বিরূপ পরিস্থিতির।
লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক
*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।