ঢাকা : আগামী ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সার্বক্ষণিক হালনাগাদ রাখতে একটি আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করা হচ্ছে।
মূলত ঢাকার আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনের পঞ্চম তলার ৪১৭ নম্বর রুমে বসে ২৬৫ কিলো মিটার দূরের চট্টগ্রাম মহানগরের ভোট মনিটরিং করবে এই কমিটি। ভোটগ্রহণের দিন ইসি সচিবালয় থেকে এই সেলের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) মনিটরিং সেল গঠন করার জন্য একটি নির্দেশনা জারি করেছে ইসি। নির্বাচন পরিচালনা অধিশাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
সেলে ইসির আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদেরের নেতৃত্বে থাকবে জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব পদমর্যাদার, পুলিশ হেডকোয়াটার্সের পুলিশ সুপার বা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার, বিজিবি ও র্যাবের অতিরিক্ত পরিচালক ও মেজর পদমর্যাদার, আনসার ও ভিডিপির মেজর ও উপ-পরিচালক পদমর্যাদার এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বা সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন করে কর্মকর্তা।
ইসি সূত্র বলছে, এর কাজ হবে নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে অবগত করা, সেলে অন্তর্ভুক্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েন করা আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের অবস্থান ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্ক জানানো, সংস্থার নিজস্ব যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কমিশনের নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করা, ভোটকেন্দ্র বা নির্বাচনি এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করা এবং ইভিএমসহ বিভিন্ন নির্বাচনি মালামাল পরিবহন, বিতরণ ও ভোটগ্রহণ কাজে নিরাপত্তা বিধানের জন্য মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সহায়তা প্রদান করা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ৮০০০ হাজার পুলিশের পাশাপাশি র্যাব আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরাও মোতায়ন থাকবে। ইতোমধ্যে ২৫ প্লাটুন বিজিবি নগরে নামানো হয়েছে। তারা নির্বাচনের পরদিন রাত পর্যন্ত মাঠে থাকবেন। নির্বাচনী মাঠে সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বিজিবি সদস্যদের সার্বিক দিক নির্দেশনা দিবেন।
পাশাপাশি ২৫ প্লাটুন বিজিবি নগরে নামানো হয়েছে। তারা নির্বাচনের পরদিন রাত পর্যন্ত মাঠে থাকবেন। নির্বাচনী মাঠে সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বিজিবি সদস্যদের সার্বিক দিক নির্দেশনা দিবেন। এছাড়াও ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি এবার ভোটের আগে পরে ৫ দিনের জন্য ২০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নিয়োগপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাচন শুরুর দুই দিন আগে থেকে পরের দুই দিনও মাঠে থাকবেন।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :