• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আশা ফখরুলের

খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ৬, ২০২১, ১২:২৭ পিএম
খালেদা জিয়াকে বিদেশে  চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার

ফাইল ছবি

ঢাকা : দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আবেদন পেয়েছে আইনমন্ত্রণালয়। আবেদন গ্রহণ করেছে আইনমন্ত্রণালয়। যাচাই বাছাই করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

আইনমন্ত্রী জানান, খালেদা জিয়ার আবেদন যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে। 

এদিকে সরকার মানবিক কারণে বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্তের পর বয়সের কারণে বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় সব ধরনের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চান মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে কোনো রাজনীতি করেনি বিএনপি।

এর আগে, বুধবার (৫ মে) রাতে শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় আবেদনপত্রটি দিয়ে এসেছেন বলে বেগম জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম নিশ্চিত করেন।

এ সময় সেলিমা ইসলাম জানিয়েছিলেন, চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর সিদ্ধান্ত তারা জানতে পারবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পত্রে নির্দিষ্ট কোন দেশের কথা উল্লেখ না করা হলেও বেগম জিয়ার চিকিৎসা লন্ডনে করানোর ইচ্ছা তাদের। যেহেতু এর আগেও সেখানে তার চিকিৎসা করা হয়েছে। যেখানে তার বড় ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে থেকেই খালেদা জিয়া চিকিৎসা করাতে পারবেন বলেও জানান সেলিমা ইসলাম।

তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে নিতে সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে তার সরকারের গ্রিন সিগনালের অপেক্ষায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেন খালেদার বোন।

এদিকে খালেদা জিয়ার শারীরিক বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, এখনও তার (খালেদা জিয়া) শ্বাসকষ্ট আছে। ফুসফুসে পানি ছিল তা বের করা হয়েছে। তবে আরও আছে যেটা বের করতে হবে।

গত ১০ এপ্রিল বেগম জিয়া করোনায় আক্রান্ত হলেও, কোভিড-১৯ এর কোন উপসর্গ ছিল না বলে জানিয়েছিল তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। এরপর ১৫ এপ্রিল তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হলেও বেশ কয়েকটি পরীক্ষা শেষে বেগম জিয়াকে আবারও তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় নেয়া হয়। 

এ রিপোর্টে তার ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। প্রথমবার পজিটিভ হওয়ার ১৪দিনের মাথায় ২৪ এপ্রিল আবারও করোনা টেস্ট করানো হলে কোভিড পজিটিভই থাকে বেগম জিয়ার। এর তিনদিন পর অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল আবারও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে নেয়া হয় একই হাসপাতাল এভারকেয়ারে। 

চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে সেখানেই নন-কোভিড ইউনিটে ভর্তি করা হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। এরপর গত ৩ মে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে করোনারী কেয়ার ইউনিট-সিসিইউতে নেয়া হয় বেগম জিয়াকে। সেদিন থেকেই তিনি ৪র্থ দিনের মত সিসিইউতেই আছেন বিএনপির এই নেত্রী।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!