ঢাকা: রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিই) এবং বিশেষায়িত কেবিনে থেকে দীর্ঘ ৫৩ দিন চিকিৎসা নেওয়া বাবদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ টাকা। এভারকেয়ার হাসপাতাল সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, প্রতিদিন সিসিইউ ভাড়া ১১ হাজার ৫০০ টাকা, কেবিন ভাড়া ১৩ হাজার ৫০০ টাকা, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ওষুধ এবং অন্যান্য খরচ বাবদ ৬ লাখ ৫৫ হাজারসহ খালেদা জিয়ার ৫৩ দিনের চিকিৎসার বিল এসেছে ১২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
গত ২৭ এপ্রিল থেকে খালেদা জিয়া প্রথমে ৩৮ দিন সিসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর তার ব্লাড ইনফেকশন শুরু হলে তাকে সিসিইউ থেকে বিশেষায়িত কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। শনিবার (১৯ জুন) হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় যাওয়া পর্যন্ত ১৫ দিন তিনি ওই কেবিনে অবস্থান করেছেন।
এর আগে ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর, ২৭ এপ্রিল তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের থাকাকালীন ৩ মে খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। ৮ মে তার করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়ার পোস্ট-কোভিড জটিলতার কারণে হার্ট, কিডনি এবং লিভার আক্রান্ত হয়। সিসিইউতে থাকা অবস্থায় উন্নতি হলেও তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর তাকে সিসিইউ থেকে বিশেষায়িত কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকলে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়তে পারে বিবেচনায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদলের সম্মতিক্রমে শনিবার (১৯ জুন) রাত সাড়ে ৮টায় তাকে হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন 'ফিরোজা'-য় নিয়ে যাওয়া হয়।
সোনালীনিউজ/এমএইচ
আপনার মতামত লিখুন :