ঢাকা : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশে যারা রাজনৈতিকভাবে এবং পারিবারিকভাবে ‘পাকিস্তানি দর্শনের’ রাজনীতিকে লালন করেন, তারা স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এখনো ‘পেয়ারে পাকিস্তান’ মন্ত্র জপছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এ ধরনের বক্তব্য শুধু রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিলই নয়; বরং ৩০ লাখ শহিদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি। বিএনপি মহাসচিবের এ ধরনের বক্তব্য বিএনপিসহ একটি মহলের বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বহির্প্রকাশ।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলেছেন— স্বাধীনতার আগে নাকি ওনারা আরও ভালো ছিলেন! এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বিএনপির চিরাচরিত বাংলাদেশবিরোধী অবস্থান ও স্বাধীনতাবিরোধী অপরাজনীতির গোপন অভিসন্ধির আবারও বহির্প্রকাশ ঘটেছে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, প্রগতি ও দেশপ্রেমে বিশ্বাসী কোনো ব্যক্তি কিংবা সংগঠন এ ধরনের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী মন্তব্য করতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে তাদের এ ধরনের বক্তব্য প্রমাণ করে যে, মহান স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে তারা এখনো বাংলাদেশে পাকিস্তানি ধারার রাজনীতি প্রবর্তন করতে চায়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি, সাফল্য, উন্নয়ন ও অর্জন যখন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত তখন বিএনপি নেতারা পাকিস্তান আমলের প্রশংসা করেন। যেখানে খোদ পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ও গণমাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রসরমান অর্থনীতির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করা হচ্ছে; তখন বিএনপি নেতারা নিলর্জ্জভাবে তাদের দালালি করছেন। যখন তাদের বুদ্ধিজীবীরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মতো একজন সুদক্ষ নেতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে, তখন বিএনপি মহাসচিব পাকিস্তান আমলে ফিরতে চাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আজ সুশাসন, মানুষের নিরাপত্তা ও দারিদ্র্যতার কথা বলছে। কিন্তু তারা ভুলে গেলেও দেশবাসী ভুলে যায়নি, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশকে তারা কীভাবে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। দেশকে নিমজ্জিত করেছিল বিদ্যুৎহীন অন্ধকারে। বিদ্যুৎ ও সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। হাওয়া ভবন খুলে অবাধ দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। হাওয়া ভবনের মদদে অবৈধ কারসাজির মাধ্যমে রাষ্ট্রের সব স্তরে নিজেদের দলীয় ক্যাডারদের নিয়োগ দিয়ে দেশের সব প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছিল বিএনপি।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :