• ঢাকা
  • বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ২৭ কার্তিক ১৪৩১

‘জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি সেই নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলার পথেই হাঁটছে’


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২, ১১:৩৮ পিএম
‘জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি সেই নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলার পথেই হাঁটছে’

ঢাকা : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে ২০১৮ সালেও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল। এখনও তারা একই পথে হাঁটছে। এই পথে হেঁটে বিএনপির কোনো লাভ হবে না।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শরৎকালীন পর্বের (ফল সেমিস্টার) নবীন বরণ ও পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির সাম্প্রতিক মিছিল-সমাবেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা গত কিছুদিন ধরে দেখছি বিএনপি বাঁশের লাঠি, কাঠের লাঠি, লোহার রড নিয়ে মিছিল করছে। তারা অতীতে জনগণ ও পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে, গতকালও মুন্সিগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে। ফলে সহজেই অনুমেয় এখন তারা নিজেরা আতংকিত এবং তারা আবার নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জানে যে জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। এমনকি তাদের প্রান্তিক কর্মীরাও সঙ্গে নেই। তাদের কর্মসূচি শুধু ঢাকা এবং কিছু কিছু শহরভিত্তিক। গ্রামে-গঞ্জে তাদের কর্মীদের কোনো সাড়া নেই। কারণ নেতাদের ওপর তাদের কোনো আস্থা নেই। এজন্য তারা নিজেরা আতংকিত। আর জনগণ তাদের কাছ থেকে সরে গেছে, সেটি তারা ভালো করেই জানে এবং বুঝে। সেজন্য তারা দেশে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়।

তিনি বলেন, এ অবস্থায় আমাদের দলের কর্মীদের আমরা সতর্ক পাহারায় থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি যাতে কেউ যদি জনগণের ওপর হামলা পরিচালনা করে, জনগণ প্রতিরোধ করলে সঙ্গে আমাদের দলও সহায়তা করবে।  

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, জীবনের পথে বহু যুদ্ধ লড়তে হয়। লক্ষ্যে অবিচল থেকে নিরন্তর সংগ্রাম ও অধ্যবসায়ই এই জীবনযুদ্ধে বিজয়ের মূল হাতিয়ার।

শিক্ষার্থীদের সংগ্রামী হতে উৎসাহিত করে হাছান মাহমুদ বলেন, কেউ যখন তার চিন্তায় গেঁথে নেবে যে তাকে লক্ষ্যে পৌঁছাতেই হবে, কেবল তখনই সে লক্ষ্য অর্জনে সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়। বিশ্ববিখ্যাত শিল্পপতি এন্ড্রু কার্নেগি অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। স্টিভ জবস বাল্যকালে প্রতি রোববার সন্ধ্যায় সাত মাইল হেঁটে মন্দিরে যেতেন একবেলা ভালো খাবারের জন্য। 

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!