ঢাকা : সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা নাজমুল হুদা আর নেই।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১১টার দিকে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, একটু আগে নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা হুদার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন।
নাজমুল হুদার স্ত্রী সিগমা হুদাকে ফোন করা হলে আত্মীয় পরিচয়ে একজন জানান, রোববার রাত ১০টার দিকে নাজমুল হুদা মৃত্যুবরণ করেন। বিস্তারিত পারিবারিকভাবে পরে জানানো হবে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ ‘জাগো দল’ গঠন করলে নাজমুল হুদা তাতে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠিত হলে তিনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন ছিলেন। পরে দলটির সর্বকনিষ্ঠ স্থায়ী কমিটির সদস্য হন। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন।
এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তার বিরুদ্ধে তিনটি দুর্নীতির মামলা হয়। ২০১০ সালে ২১ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। তখন তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। বহিষ্কৃত হলেও তিনি বিএনপির দলীয় কাজ করতে থাকেন এবং ২০১১ সালের ৫ এপ্রিল তার সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে ২০১২ সালে ৬ জুন নাজমুল হুদা বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।
এরপর ১০ আগস্ট ২০১২ সালে নাজমুল হুদা ও আবুল কালাম মিলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। কিন্তু কয়েক মাস পরের আবুল কালাম কর্তৃক বিএনএফ থেকে বহিষ্কার হন। ২০১৪ সালের ৭ মে মাসে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জোট নামে একটি জোট গঠন করেন। ২১ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি নামে দল গঠন করেন। ২০ নভেম্বর ২০১৫ সালে হুদা তৃণমূল বিএনপি নামে আরো একটি নতুন দল গঠন করেন।
নাজমুল হুদা আইনজীবী ব্যারিস্টার সিগমা হুদাকে বিয়ে করেন। তাদের দুটি মেয়ে অন্তরা সামিলা ও শ্রাবন্তী আমিনা।
প্রসঙ্গত, নাজমুল হুদা অনেক দিন ধরে নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন। গত সপ্তাহে তার গঠিত তৃণমূল বিএনপি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই