ঢাকা: অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ জনপদ বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই দুই সিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এই দুই সিটিতে জয় পেয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা।
বরিশালে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)। নগরীর মোট ১২৬টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিম হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট।
সোমবার (১২ জুন) রাত ৯টায় বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্র থেকে এ ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
অন্যদিকে বর্তমান মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকেই ভরসা রেখেছেন খুলনাবাসী। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাত পাখার প্রার্থী মো. আব্দুল আউয়াল পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট। এই সিটিতে মোট কেন্দ্র ২৮৯টি।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নির্বাচনে মেয়র পদে জয়লাভ করেছিলেন। ২০১৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেককে পরাজিত করে খুলনার মেয়র হয়েছিলেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনি। সর্বশেষ ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ধানের শীষ প্রতীকের বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিটি করপোরেশনের মধ্যে মোট ভোটার রয়েছেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন। মোট ২৮৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৩২টি কক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল সিটিতে ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৫। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭১ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৪ জন। এখানে ওয়ার্ডের সংখ্যা ৩০ আর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সংখ্যা ১০। মেয়র প্রার্থী ৭জন। কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ১১৬ জন। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৪২ জন।
এদিকে হাতপাখার মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে বরিশাল ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। একই সঙ্গে আসন্ন সিলেট ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বয়কট ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর চাঁদমারি এলাকায় প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম।
সংবাদ সম্মেলনে সরকার ও নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে আগামী শুক্রবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
সোনালীনিউজ/আইএ