বগুড়া: ‘এ সরকারকে বলা হয়েছে পদত্যাগ করো, সংসদ বিলুপ্ত করো। এখন দেশের মানুষের কাছে দফা এক-দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। সেই দাবি আদায় হবে রাজপথে।’ বগুড়ায় সোমবার (১৯ জুন) বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, এদেশে অবশ্যই নির্বাচন হবে, তবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। তার আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসার পরই নির্বাচন হতে পারে।
এদিকে সভা মঞ্চে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্মানে সমাবেশের মঞ্চে দুটি চেয়ার খালি রাখা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ দাবিতে চলমান আন্দোলনে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে দেশের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তরুণ সমাবেশ করবে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। গত বুধবার চট্টগ্রাম বিভাগে সমাবেশ আয়োজনের মধ্য দিয়ে তারুণ্যের সমাবেশ শুরু হয়।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ৪৪ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে এবং তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা এ অন্যায় আর সহ্য করবো না। জামালপুরে একজন সাংবাদিককে আওয়ামী লীগের লোকজন হত্যা করেছে। একটি বাড়ির কেয়ারটেকার আলালকে পুলিশ হেফাজতে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এসবের শুধু নিন্দাই জানাই তা নয়, আমরা এর বিচার চাই। যারা গুম, খুন করছে, নির্যাতন করছে তাদের সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। দেশ রক্ষার এ লড়াই শুধু বিএনপির লড়াই নয়, এ লড়াই সমগ্র জাতির লড়াই। তারা বলছে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? সেই সংবিধান তোমরাই কাটা-ছেঁড়া করেছ, সেই সংবিধান জনগণের সম্মতি নিয়ে করো নেই। কাজেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।
তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ বিপন্ন। এসব পুনরুদ্ধার করতে হলে তোমাদের নেতৃত্ব দিতে হবে। দেশ আজ চরম বিপদের মুখে। এমন সংকটে দেশ আর কখনও পড়েনি। এ সংকটকালে আমরা তরুণদের ওপর আস্থা রাখতে চাই।
এর আগে দুপুর ২টা থেকে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে প্রবেশ করেন। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬টি জেলার প্রায় সব জেলা থেকে নেতাকর্মীরা এ সমাবেশে অংশ নিতে সভাস্থলের আশপাশে সমবেত হন।
সোনালীনিউজ/আইএ