• ঢাকা
  • বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১
বিরোধের কারণে রেজা কিবরিয়াকে সরিয়ে দেওয়া হলো

ভাঙনের সুর গণঅধিকার পরিষদে


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২০, ২০২৩, ০১:২৬ পিএম
ভাঙনের সুর গণঅধিকার পরিষদে

ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুর। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও তার রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদে চলছে তোলপাড়।

নুরের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ আতাউল্লাহর সঞ্চালনায় সোমবার (১৯ জুন) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পূর্বনির্ধারিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সাংগঠনিক আলোচনা ছাড়াও দলের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক তৎপরতায় উদ্ভুত পরিস্থিতি ও দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। সুশৃঙ্খলভাবে দলের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে সর্বসম্মতিক্রমে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসাবে মনোনীত করা হয়।

এদিকে এ সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলেছেন ড. রেজা কিবরিয়া। সোমবার রাত তিনি বলেন,  এটা একটা অবৈধ সভার ভিত্তিতে অবৈধ সিদ্ধান্ত। সুতরাং কোনো অসুবিধা নেই। তারা বাচ্চা ছেলে, কি করছে বুঝতে পারছে না। টাকার ব্যাপারে যখন প্রশ্ন করা হয়, তখন তিনি (নুরুল হক নুর) ক্ষেপে যান। কারণ টাকার বিষয়ে তিনি কোনো প্রশ্নের উত্তর দেবেন না। টাকা যে তারা ঠিকভাবে ব্যবহার করছেন না, লেনদেন নিয়ে দলের মধ্যে অনেক প্রশ্ন উঠেছে এটা এড়াতে গিয়ে এসব করছেন, আর কিছু না। আর ইসরাইলের মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে তার কি সম্পর্ক এ প্রশ্নেরও কোনো উত্তর দিতে পারছে না।

এরআগে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া এবং সদস্য সচিব নুরুল হক নুর ফেসবুকে পরস্পরের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেন। রেজা কিবরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, রবিবার সন্ধ্যায় এক জরুরই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুল হক নুরসহ গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় দলীয় শৃঙ্খলা আনয়নের ক্ষেত্রে সদস্য সচিবকে আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং বিতর্কিত ব্যাক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের কারণ ব্যাখ্যা চেয়ে আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়ার মতামত দিলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি উদ্ভভ হয়। বয়োজেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ এমন পরিস্থিতিতে চরম অস্বস্থিতে পড়েন।

এতে আরও বলা হয়, এমতাবস্থায় সভার আহ্বায়ক সভা স্থগিত করে সভাস্থল ত্যাগ করেন। সভা চলাকালীন সময়ে প্রবাসী অধিকার পরিষদের কমিটি পুণঃগঠন, ইতোমধ্যে সংগৃহীত অর্থের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং সুষ্ঠ হিসাব ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করা, বিতর্কিত ব্যাক্তিদের সঙ্গে গোপন বৈঠক, দলীয় নেতৃবৃন্দদের নিয়ে সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে অসত্য সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সদস্য সচিব নুরুল হক নুরকে দায়ী করা হয়। দল পরিচালনার ক্ষেত্রে একক কর্তৃত্বের পরিবর্তে যৌথ নেতৃত্বের বিকাশে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক উচ্চতর পরিষদ ও নির্বাহী পরিষদ গঠনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে অভিমত প্রকাশ করা হয়।

অপরদিকে রেজা কিবরিয়ার বক্তব্য অসত্য ও মিথ্যাচার বলে দাবি করেন নুরুল হক নুর। নুর বলেন, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা শওকত মাহমুদের ইনসাফ কায়েম কমিটির প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার বিষয়ে রেজা কিবরিয়ার কাছে জবাবদিহিতা চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি সদুত্তর না দিয়ে নেতৃবৃন্দের প্রশ্নে বিরক্ত হয়ে সভা ত্যাগ করেন। যে কারণে রবিবার তার উপস্থিতিতে আর মিটিং করতে পারিনি। তাই বাকি আলোচনা সম্পন্ন করে সোমবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সভা হয়।

তিনি বলেন, গণঅধিকার পরিষদের মতো একটা সম্ভাবনাময় দলের আহ্বায়ক হয়েও তিনি ওভাবে দলের মিটিং-মিছিল, কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন না। বরং ফাঁদে পড়ে তিনি বিএনপি ভেঙে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দুঃস্বপ্নে বিভোর। আমরা সেটাতে সমর্থন না দেওয়ায় আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার করে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে গণঅধিকার পরিষদে ভাঙন ও সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!