ঢাকা: ‘বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। ঐতিহ্যগতভাবেই জামায়াতে ইসলামী বিএনপির ঘনিষ্ঠ মিত্র। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান গোলাম আযমকে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। বেগম খালেদা জিয়া গোলাম আযমকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেন। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে একাকার হয়ে সরকার গঠন করে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধূলিসাৎ করে।’ কথাগুলো বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। বিবৃতিতে বিএনপি নেতাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে ফুলেফেঁপে বিষবৃক্ষে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারের সময় বেগম খালেদা জিয়া জামায়াতের শীর্ষ নেতা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য আন্দোলন করেছেন। বিএনপির শাসনামলে পাকিস্তানি দর্শনের রাজনীতি বাংলাদেশে জোরদার হয় এবং জামায়াতে ইসলামীর ক্ষমতায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়। বাংলাদেশের সচেতন মানুষ মাত্রই জানে, জামায়াতে ইসলামী হলো বিএনপির বি টিম।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে ভোট না দেওয়ার অপরাধে সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘরে ভাংচুর ও আগুন দেওয়া হয়। হরতালের নামে আগুনসন্ত্রাস ও পেট্রোল বোমা মেরে নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে মারা, গাছ কাটা, ভূমি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার যে ইতিহাস বিএনপি সৃষ্টি করেছিল- সেটা বেশিদিন আগের নয়। বিএনপি নেতারা ভুলে গেলেও দেশের মানুষ বিএনপির সেই সহিংসতার কথা ভুলে যায়নি।
তিনি বলেন, নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতেই বিএনপি নেতারা সবসময় অপপ্রচার চালান। তারা সরকারি দলের লোকদের ওপর দোষ চাপিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগার উপলক্ষ খোঁজেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসে যোগদান নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্য অজ্ঞতা ছাড়া কিছু নয়। পাশ্চাত্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেও ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা ব্রিকস ব্যাংক প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম।
বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, একইভাবে বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য শেখ হাসিনা সরকার ব্রিকসে যোগদান করছে। বিএনপির মতো বিদেশি প্রভুদের তুষ্ট করার জন্য আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা রাজনীতি করেন না। দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে।
সোনালীনিউজ/আইএ