ঢাকা: বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাজা দিয়ে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে সরকার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকারের সবগুলো স্টেপ হচ্ছে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য। যাতে করে কোনোভাবে এখানে অবাধ, সুষ্ঠু, ইনক্লুসিভ নির্বাচন হতে না পারে। তবে সরকারের পালাবার কোনো পথ নেই, সময় শেষ।
রোববার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে যৌথ সভা ডাকে দলটি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, উত্তরের পাশাপাশি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের দিকনির্দেশনা দেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া যৌথসভায় সভাপতিত্ব করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর আগে গত বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব।
সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে আন্দোলন করছে। আমাদের চেয়ারপারসনকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিনা চিকিৎসায় তাকে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে, এখন অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। গত ১৮ তারিখে ঢাকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে ৪৭টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এতে আসামি করেছে ১২ হাজার ৬৩০ জনকে। ক্যান ইউ এমাজিন? কোন রাজ্যে আমরা বাস করছি, কোন সমাজে বাস করছি? এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ১৩শর বেশি নেতাকর্মী।’
বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা নিয়ে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘গতকাল প্রধানমন্ত্রী যেভাবে মামলার বিষয়ে কথা বলেছেন, সাক্ষী আনতে হবে, সাজা দিতে হবে, এসব কথা কোনো সভ্য সমাজে, গণতান্ত্রিক সমাজের প্রধানমন্ত্রী দিতে পারেন না। এতে পরিষ্কার হয়েছে, এই সরকার সরাসরি আদালতে হস্তক্ষেপ করে ফরমায়েশি রায় দিচ্ছে৷’
এমএস
আপনার মতামত লিখুন :