ঢাকা : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে অশান্তির বিরুদ্ধে জবাব দেব। আমাদের সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। কেবল মিছিল শেষ হলেই শেষ নয়, সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। এটা দেশের আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ। তাই সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় শনিবারের শান্তি সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এদের (বিএনপি) দুরভিসন্ধি আছে। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সাথে নিয়ে এরা যেকোনো অশুভ চক্রান্ত করতে পারে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামীকাল স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ করতে চাই। আমরা উত্তরায় যে সমাবেশ করি, একটা থানায় যে সমাবেশ করি সেখানে যে উপস্থিতি হয় তার সাথে সারাদেশ থেকে যে মানুষ এসে জমায়েত হয় তার তুলনা করা হয়।
সাংবাদিক দের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল কি বললেন না বললেন সেটা বিষয় নয়। আমরা যা বলেছি, প্রধানমন্ত্রী যা বলছেন তার সাথে মিল আছে কিনা আপনারা মিলিয়ে দেখবেন।
তিনি বলেন, আগামীকাল ইনশাআল্লাহ ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের নেতাকর্মীরা দলে দলে শান্তি সমাবেশে আসবে বায়তুল মোকাররমে। সকাল ১১টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করব। দুপুর ২টার পর মূল সমাবেশ হবে।
মির্জা ফখরুল অনুমতির বিষয়ে মিথ্যা বলেছেন দাবি করে তিনি বলেন,পুলিশ এখনও আমাদের অনুমতি দেয়নি। ফখরুল এসে দেখে যান আমরাও অনুমতি পাইনি।
বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন অনুমতি ছাড়া কোনো মিছিল করতে পারেননি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির সময় ২১ ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানের অনুমতি পাইনি। মতিয়া আপা,আব্দুস সামাদ আজাদ এর মতো নেতাকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। আহসানউল্লাহ মাস্টার, শাহ এম এস কিবরিয়ার মতো বড় মাপের নেতাকে হত্যা করেছিলেন। ফখরুল আজ তালিকা করে দেখান আপনাদের কোন কোন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের শান্তি উন্নয়ন, অগ্রগতি কে ছিনতাই করতে একটি মহল ততপর। তারা গণতান্ত্রিক অগ্রগতিকে ব্যাহত করতে লিপ্ত। বিএনপি জামায়াতের নেতৃত্বে দেশি বিদেশি একটা মহল দেশকে পিছিয়ে দিতে চায়।
আপনাদের মনে আছে ২০১৩-১৫ তে তারা আগুন সন্ত্রাস করেছে। এদের পূর্বসূরীরাই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে মিলে অপকর্ম করে। তাদের রাজনীতি হল যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল। যার চেষ্টা তারা করছে।ক্ষমতায় তারা অনেক দিন নেই, তাই তাদের অন্তরে ক্ষুধার আগুন। সরকার ১৫ বছরে বাংলাদেশের চেহারা বদলে দিয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রগতিতে বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
শেখ হাসিনার সরকার সংসদে আইন পাস করে ইসি গঠন করেছে সংস্কার করেছে। অনেক গণতান্ত্রিক দেশের চেয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যাবস্থা উন্নত। আমরা যখন বিদেশি বন্ধুদের সাথে মিটিং করি বিষয়টি তাদেরকেও বুঝাতে সক্ষম হয়েছি।
ইসি একটি ফ্রি ফেয়ার ইলেকশনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সময় যারা দেশের গণতন্ত্র নষ্ট করতে চায়,মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে স্বাধীনতার চেতনা থেকে সড়িয়ে তারা পাকিস্তানি কায়দায় দেশ চালাতে চায়।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :