ঢাকা : যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, শনিবার কেউ কেউ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমরা রাজপথে ছিলাম; কেউ কেউ নিজের পেশাগত কাজে কালকে রাজপথে বেড়িয়েছিল। আমরা সবাই রাতে নিজ নিজ বাসায় ফিরেছি শুধু মাত্র আমাদের পুলিশ ভাই বাসায় ফিরতে পারেন নাই; ফিরতে পারেন নাই তার পরিবারের কাছে। বিএনপি-জামাত কর্তৃক নৃশংসভাবে পুলিশ হত্যা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত।
তিনি বলেন, বিএনপি তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের প্রতিক্রিয়াশীল মনোভাব প্রকাশ করেছে। পুলিশ বাহিনী, সাংবাদিক এবং বিচার বিভাগ তাদের পুরোনো শত্রু। সাংবাদিকদের তারা টার্গেট করে কারণ, সাংবাদিকরা জনগণের সাথে রাজনীতিবিদদের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের সাধারণ জনগণের মুখপাত্র তাই তারা বার বার সাংবাদিকদের ওপর আঘাত হানে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে ফার্মগেইট আনন্দ সিনেমা হলের সামনে এক প্রতিবাদ কর্মসূচীতে তিনি এসব কথা বলেন।
উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে ও ইসমাইল হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি মানে ৭৫ এর খুনি, জঙ্গি, সন্ত্রাসী, গ্রেনেড হামলাকারী, সিরিজ বোমা হামলাকারী সংগঠন। বিএনপি-জামাতের কর্মসূচি মানেই পুলিশ হত্যা, সাধারণ মানুষ হত্যা, বাড়িঘর পুরোনো, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা। এটাই তো তাদের চরিত্র। আমরা বার বার বলেছি বিএনপি একটি জঙ্গি সংগঠন, সন্ত্রাসী সংগঠন। আমরা যুবলীগ থেকে দাবি তুলেছিলাম বিএনপির রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করার জন্য। যদি যুবলীগের দাবি পূরণ হতো তাহলে আমাদের পুলিশ ভাই মারা যেতো না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, ডা. খালেদ শওকত আলী, হাবিবুর রহমান পবন, নবী নেওয়াজ, এনামুল হক খান, মোয়াজ্জেম হোসেন, আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরু, সোহেল পারভেজ, আবু মুনির শহীদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
এমটিআই