ঢাকা : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র দেশটাকে এখন বৃহৎ কারাগার বানিয়ে ফেলেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিএনপির বন্ধ কার্যালয়ে ইসির চিঠি প্রেরণও ছিল আরেকটি সরকারের তামাশা। আসলে সরকার নিজেদের অতিচালাক ভাবছে এবং সব কিছুতেই ধরাকে সরা জ্ঞান করছে।
রোববার (৫ নভেম্বর) নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে এক প্রতিবাদলিপিতে এসব কথা বলেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী।
তিনি বলেন, একদিকে সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে, অপরদিকে সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে গ্রেফতারে ক্র্যাকডাউন শুরু হয়েছে— এটি যেন এক মহাতামাশা।
প্রতিবাদলিপিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের যেভাবে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাতে এটি সুস্পষ্ট যে, আগামী নির্বাচন যেনতেন প্রকারে অনুষ্ঠিত করে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিতে বদ্ধপরিকর অবৈধ শাসকগোষ্ঠী।
কিন্তু এবার আওয়ামী অবৈধ সরকারের এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে দেবে না জনগণ। ধারাবাহিকভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে প্রচণ্ড ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনগণ আরও বলিয়ান হচ্ছে। বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা বাস্তবায়ন ছাড়া জনগণ রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে যাবে না।
এদিকে রোববার গভীর রাতে ঢাকা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম), সোমবার ভোরে রাজধানীর উত্তরা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং ঢাকা থেকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্সকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। একই সঙ্গে নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান বিএনপির এ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
এমটিআই