• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিএনপি বোধহয় ইসরায়েলের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৫:০৪ পিএম
বিএনপি বোধহয় ইসরায়েলের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: দখলদার ইসরায়েল বাহিনী ফিলিস্তিনের গাজায় যেভাবে হাসপাতালে হামলা চালিয়ে নারী-শিশুদেরও হত্যা করছে সেভাবেই বিএনপিও হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সকেও ছাড় দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপির লোকেরা ইসরায়েলের কাছ থেকেই বোধহয় শিক্ষা নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গত ২৮ অক্টোবরের সহিংসতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি মানেই সন্ত্রাসী কার্যক্রম। তাদের কাজই হলো মানুষ খুন। ২৮ অক্টোবর তারা কীভাবে পিটিয়ে পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করেছে তা আপনারা দেখেছেন। সাংবাদিকরা তাদেরই সংবাদ সংগ্রহ করতে গেছে, তাদেরও ছেড়ে দেয়নি। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালেও আক্রমণ করেছে। তারা অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করেছে, পুড়িয়েছে। এদের মধ্যে মনুষত্ববোধও নেই। উত্তরবঙ্গে দেখলাম অন্তঃসত্ত্বাবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সও পুড়িয়ে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ২০১৩ সালেও একই কাজ শুরু করেছিল। হাজার হাজার অফিস-আদালত, গাড়ি পুড়িয়েছিল তখন। কিন্তু তারা নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি, জনগণ প্রতিরোধ করেছিল। আজও আপনাদের কাছে আমার আহ্বান, সন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিহত করুন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছি, যারা আগুন দিতে যাবে ধরিয়ে দিতে পারলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। যারা এভাবে আগুন দিয়ে মানুষ মারে তাদের কখনো ছাড় দেওয়া হবে না।

সরকারপ্রধান বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের ইহুদিরা হাসপাতালেও হামলা চালিয়েছে। বিএনপির লোকেরা বোধহয় ইসরায়েলিদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছে। ওরা বাংলাদেশের ধ্বংস চায়। ওদের চরিত্র কোনো দিন পাল্টাবে না।

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, একজন তো এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত। আরেকজন ২০০৭ সালে মুচলেকা দিয়ে বলেছিল আর কোনোদিন রাজনীতি করবে না। এখন লন্ডনে বসে বসে যত টাকা দুর্নীতি ও চুরি করেছিল, সেই টাকা খরচ করে আর আগুন জ্বালিয়ে মানুষ মারে।

গার্মেন্ট শ্রমিকদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এই আন্দোলন করছে, তাদের কাছে আমরা প্রশ্ন- আমি প্রথমবার ক্ষমতায় এসে দেখি গার্মেন্টস শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ৮০০ টাকা, আমি করেছিলাম ১৬০০ টাকা। খালেদা ক্ষমতায় এসে এক পয়সাও বাড়ায়নি। পরের বার সরকারে এসে প্রথমে করলাম, ৩২০০, দ্বিতীয় দফায় ৫৩০০, তৃতীয় দফায় ৮২০০ আর এবার করলাম ১২৫০০ টাকা।

শেখ হাসিনা বলেন, হ্যাঁ, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, মানুষের কষ্ট হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বলে সরকারি চাকুরেদের জন্য ৫ পার্সেন্ট, আর গার্মেন্টস শ্রমিকদের বাড়িয়েছি ৫৬ পার্সেন্ট। কিন্তু তা সত্ত্বেও গার্মেন্টস শিল্পে এই ধ্বংস কেন, কারা করছে এসব, তাদের খুঁজে বের করা দরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। দেশের মানুষ যদি ভালো থাকে সেটাই আমার পাওয়া। বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার। জনগণকে পরিবার হিসেবে আমি আপন করে নিয়েছি। তাই তাদের কল্যাণের জন্য আমি কাজ করে যাচ্ছি।

জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা বারবার আমাদের ভোট দিয়েছেন। ভোট দিয়ে আপনাদের সেবার করার সুযোগ দিয়েছেন। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আর সেই সুযোগটা দিয়েছেন বলেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।

এমএস

Wordbridge School
Link copied!