ঢাকা : সরকার দেশকে খাদের মধ্যে ফেলতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকি।
তিনি বলেন, ‘সরকার আবার একতরফা নির্বাচন করে দেশকে ধ্বংস করতে চায়। সরকার একতরফা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু আসলে পুরো দেশকে নিয়ে খাদের দিকে এগোচ্ছে। তারা আমাদের দেশকে খাদের মধ্যে ফেলতে চায়।’
সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হরতালের সমর্থনে মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আন্দোলন চলছে, চলবে। সরকার ভাবছে, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব দিয়ে দমন-পীড়ন করে একতরফা নির্বাচন করে ফেলবে। তারা আরেকটি নির্বাচন করে ক্ষমতা নবায়ন করবে। তারপর বিদেশিদের পায়ে ধরে সব ব্যবস্থা করে ফেলবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার যে কোনো মূল্যে একটি নির্বাচন করবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ আজ দিশেহারা। সেদিকে সরকারের কোনো মনোযোগ নেই।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা আজও দেখলাম, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল করে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে যাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে আমার কোরবানির হাটে গরু কিনতে যাওয়ার দৃশ্যের কথা মনে পড়ল। কোরবানির হাটে ৫-১০ জন মিলে যেভাবে গরু কিনতে যায়, তারা এখন সেভাবে আওয়ামী লীগের অফিসে দল ধরে নির্বাচনি টিকিট কিনতে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘মনোনয়ন ফরম কিনতে আসা ব্যক্তিরা মনে করছে, যেহেতু এবার আরেকটা সাজানো একতরফা নীল নকশার নির্বাচন হবে, তাই কোনোভাবে যদি তারা আওয়ামী লীগের একটা টিকিট পেয়ে যায় তাহলে এমপি হওয়া নিশ্চিত। আগের দিনের রাজা-বাদশারা যেভাবে তালুকদারি লিজ দিতো সেভাবে নৌকার টিকিট বিক্রি করে আগামী পাঁচ বছরের জন্য দখলদারিত্বকে নিশ্চিত করতে চায় আওয়ামী লীগ।’
ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ইউসূফ সেলিমের সভাপতিত্বে এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সহ-সভাপতি সিরাজ মিয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাক্কারুল ইসলাম নবাব প্রমুখ।
এমটিআই