ঢাকা : জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বিএনপির সঙ্গে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ১২ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির নেতৃত্বে গঠিত নতুন রাজনৈতিক জোট যুক্তফ্রন্ট।
এই জোটের প্রধান বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম জানিয়েছেন, জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে যুক্তফ্রন্ট। ১০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে তাদের।
তিনি বলেন, আমরা ২০২৪ সালের নির্বাচন জাতি ও বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে চাই। আশা করছি আগামী নির্বাচন অতীতের চেয়ে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার (অবাধ ও সুষ্ঠু) হবে।
তিনি বলেন, আমরা আবেদন করছি, সরকার সুন্দর, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা করেছে তা যেন অব্যাহত রাখে। আর সংলাপের দরজা যাতে বন্ধ না করে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে যুক্তফ্রন্টের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানেই তিনটি দলের উদ্যোগে নতুন এই জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ‘যুক্তফ্রন্ট’ নামে এই জোট ঘোষণা করেন জোট প্রধান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। জোটের শরিক দলগুলো হলো, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি), জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল) ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হাতপাঞ্জা)।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে যাওয়ার জন্য ২০১৪ সালে আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। চাপ থাকার পরেও আমরা সেই নির্বাচনে যাইনি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে থেকে আন্দোলন করেছি। আর ২০১৮ সালে আমন্ত্রণ ছিল ২০ দল থেকে বের হয়ে নির্বাচন করার জন্য। কিন্তু আমরা ২০ দলে থেকেই নির্বাচন করেছি। আর বিএনপির প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করব। কারণ তাদের কাছে আমরা রাজনীতি শিখেছি। কারণ একা রাজনীতি শেখা যায় না।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ২০১৮ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল। কিন্তু সেটা ভুলে আবার পথচলা শুরু করেছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব জাফর আহমেদ জয়, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাসচিব ফারুকুল ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আব্দুল আউয়াল মামুন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) অতিরিক্ত মহাসচিব তোফাজ্জল হোসেন ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য অধ্যাপক ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ প্রমুখ।
এমটিআই