ঢাকা : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে চলছে নানা হিসাব নিকাশ। এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে যেমন প্রতিযোগিতা করছেন তেমনি তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে জোট সঙ্গীদের দিকেও।
এবারের নির্বাচনী সমঝোতায় আসন হারাতে পারেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এবার তার নির্বাচনী আসনে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার) নৌকার মনোনয়ন চান তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন সমশের মবিন চৌধুরী।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, সরকারের সঙ্গে সমঝোতা ও কিছু আসন পাওয়ার নিশ্চয়তায় পেয়েই নির্বাচনে এসেছে তৃণমূল বিএনপি। এ ক্ষেত্রে দলটির চেয়ারম্যান সমশের মবিন চৌধুরী সিলেট-৬ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন এটা অনেকটা নিশ্চিত।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদনও করেছিল তৃণমূল বিএনপি।
এরপর থেকে সিলেটের রাজনীতিতে নাহিদ-সমশেরকে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে ১৯৯৬ সালে সপ্তম, ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হন। তিনি সিলেটের রাজনীতিতে পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। এবার তিনি সংসদ সদস্য পদ হারালে বয়সের কারণে রাজনীতিতে ফিরে আসা অনেকটাই কঠিন হয়ে যাবে।
নাহিদের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ঘটে ষাটের দশকের শুরুতে আইয়ুব খানের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় কর্মী হিসেবে। তিনি ১৯৯১ সালে সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন এবং ১৯৯৪ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। আওয়ামী লীগে যোগদানের আগ পর্যন্ত তিনি বাম রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন।
অপরদিকে বিএনপির রাজনীতিতে শমসের মবিন চৌধুরীর নাটকীয় উত্থানটা। বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর জোট সরকারের আমলে তিনি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। চাকরি থেকে অবসরের পর তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। বিএনপিতে খালেদা জিয়ার পছন্দের তালিকায় তিনি ছিলেন বলে জানা যায়।
কিন্ত ২০১৮ সালে তিনি বিএনপি ছেড়ে বিকল্পধারায় যোগ দিয়েছিলেন এবং সর্বশেষ তৃণমূল বিএনপিতে। সমশের মবিন সুবিধাবাদী রাজনীতির এক বড় উদাহরণ।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :