ঢাকা : আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তাদের নির্বাচনি ইশতেহারে উল্লিখিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ঘোষণা শ্মশানে রূপান্তর হবে বলে মন্তব্য করেন ১২-দলীয় জোটের নেতারা।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল এলাকায় অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে ১২-দলীয় জোটের গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণকালে নেতারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনি প্রতারণার ফাঁদপাতা শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের সেই পুরনো ইশতেহারে জনগণের ১০ টাকা কেজি চাল, বিনামূল্যে সার, ঘরে ঘরে চাকরি আজ কোথায় গেল? আওয়ামী লীগ উন্নয়নের নামে ঋণ করে ঘি খায় আর দেশের বাইরে অর্থপাচার করে। তাই তাদের নির্বাচনি ইশতেহার মানে স্মার্ট বাংলাদেশের নামে শ্মশানে বাংলাদেশ।
১২-দলীয় জোটের নেতারা বলেন, দেশের ৫৭ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র্যের তালিকায় রেখে কীভাবে অর্ধাহারে-অনাহারে থাকা মানুষের কাছে আওয়ামী লীগ ভোট চাইতে যায়? সাধারণ মানুষের পেটে ভাত নেই! কৃষকের সার নেই, শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার নেই! বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান নেই। তার পরও আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে প্রতারণার পুরনো ফাঁদ পেতে খেলতে চায়। তবে আগামী ৭ জানুয়ারি জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ভোট বর্জনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১২-দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, জনগণ শেখ হাসিনার অধীনে ৭ তারিখের ভোট বর্জনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। মানুষ এখন শেখ হাসিনার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানতে চায়।
তিনি বলেন, সরকারের এখনো সময় আছে— পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। অন্যথায় গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে বাংলার জনগণ পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।
১২-দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ 'বিএনপি-জামায়াত ও ১২-দলীয় জোটসহ বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে খেলায় হেরে গিয়ে এখন নিজেদের ঘরে জুতা মারামারির খেলা শুরু করেছে। এই খেলায় আওয়ামী লীগকে বিদায় করতেই হবে। ইনশাআল্লাহ দেশের জনগণ আগামী ৭ জানুয়ারির পাতানো নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগের সার্কাস খেলা দেখতে ভোটকেন্দ্রে যাবে না।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এলডিপির মিজানুর রহমান পিন্টু, মো. ফরিদ উদ্দিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের আতাউর রহমান খান, এম কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, আবুল মনসুর, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) গাজী ওমর ফারুক, বাংলাদেশ লেবার পার্টির শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির শফিকুল ইসলাম, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম, এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, ছাত্রসমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।
এমটিআই