ঢাকা : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একক সংখাগরিষ্ঠতায় টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) ভোর ৪টায় নির্বাচন কমিশন থেকে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ২৯৮টি আসনের ফলাফলে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২৫টি আসন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, যাদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। ৬১টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যান্য ১টি আসন।
এদিকে, গত দুই সংসদে প্রধান বিরোধীদলের আসনে বসা জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত ১১ আসনে জয় পেয়েছে। যে ২৬ আসনে আওয়ামী লীগ লাঙ্গলকে ছাড় দিয়েছিল, তার অর্ধেকের বেশি আসন তারা খুইয়ে বসেছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে জাসদ একটি, ওয়ার্কার্স পার্টি একটি এবং এক সময় বিএনপির জোটে থাকা কল্যাণ পার্টি একটি আসনে জয় পেয়েছে।
লাঙ্গলে প্রতীকে জয়ী ১১টি আসন নিয়ে দৃশ্যত আবারও সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসতে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি। তবে সংখ্যায় তাদের পাঁচগুণ বেশি স্বতন্ত্ররা সম্ভাব্য ওই তকমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
ভোটে না আসায় দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপি দশম সংসদের মতই সংসদের বাইরে থেকে যাচ্ছে। ভোট প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে থাকা দলটির নেতা মঈন খান বলেছেন, তাদের ভোট বর্জন ‘সফল’ হয়েছে।
আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্রদের দাপটে লাঙ্গলের দুর্দশা বুঝতে পেরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ভোটের মাঝপথেই বলেছিলেন, “আমাদেরকে ভোটে নিয়ে এসে কোরবানি দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু করা হয় কি-না সেটা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।”
আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দিনের শুরুতেই ভোট দিয়ে বলেছিলেন, নৌকার জয় হবেই, কোনো সন্দেহ তার নেই।
তিনি বলেন, আজকে নির্বাচনটা যে আমরা সুষ্ঠুভাবে করতে পারছি, সে জন্য আমি আমার দেশের মানুষের প্রতি, দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, বলেছিলেন তিনি।
এমটিআই