• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
নজরুল ইসলাম খান

দেশে গণতন্ত্র না থাকায় বৈষম্য বাড়ছে


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৪, ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম
দেশে গণতন্ত্র না থাকায় বৈষম্য বাড়ছে

ঢাকা : দেশে গণতন্ত্র না থাকায় ‘ধনী-গরিবের বৈষম্য ক্রমশ বাড়ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, 'সবার উন্নয়ন করার কথা চিন্তা করলে গণতন্ত্র ছাড়া কোনো পথ নেই। আর গণতন্ত্র নেই বলেই আজকে দেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিষ্পেষিত। আর হাতেগোনা কিছু মানুষ প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার বাড়ি কিনছে। শতকরা ৫ ভাগ মানুষ দেশের বিপুল পরিমাণ সম্পদ আত্মসাৎ করে নিয়ে যাচ্ছে।’

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের নিচতলায় আরাফাত রহমান কোকোর নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিলের অংশ নিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘কারণ একটাই— সেটা হলো যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থনের প্রয়োজন নেই সরকারের। ফলে তারা ভোটেই বিশ্বাস করে না। যদি ভোটের প্রয়োজন হতো, তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করত, ৭ জানুয়ারির মতো একতরফা নির্বাচন হতো না।’

এ অবস্থার পরিবর্তনে ‘ভোটের অধিকার’ পুনঃপ্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে এ জন্য সবাইকে একতাবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান নজরুল ইসলাম খান।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শাসনামলের প্রসঙ্গ টেনে দলের প্রথম শ্রমবিষয়ক সম্পাদক বলেন, ‘৭৮ সালে জিয়াউর রহমান- উনি যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করলেন, সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছিল। আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দল একসঙ্গে মিলে ঐক্য করেছে এবং জেনারেল ওসমানী সাহেবকে প্রার্থী করেছে। জিয়াউর রহমান সাহেবের বিরুদ্ধে জাস্টিস আবদুস সাত্তারের সময়ে যে নির্বাচন, সেখানেও ড. কামাল হোসেনকে আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী করেছে। শহীদ জিয়া ’৭৯ সালে যে সংসদ নির্বাচন করেছিলেন, সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছিল। খালেদা জিয়া ’৯১ সালে যে নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হন, সেই নির্বাচনেও সব দল অংশ নিয়েছিল।’

নজরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘কৌশলে অন্যদের বাইরে রেখে কিংবা জোর-জবরদস্তি করে অন্যদের নির্বাচনের বাইরে রেখে নেতা বা প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট হওয়ার ইতিহাস বিএনপির নেই। ’৯৬ সালের নির্বাচন করতে হয়েছিল একটা বিশেষ কারণে এবং যে কারণে সেই নির্বাচন করতে হয়েছিল সেই বিল পাস করেই বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ করে এই অফিসের সামনে জনসভায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। সুতরাং আজকে বাংলাদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র নেই। আমরা গণতন্ত্রহীন অবস্থায় জীবনযাপন করছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে গণতন্ত্র আমরা অর্জন করেছিলাম, আমাদের লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে, সেই গণতন্ত্র আজ নেই, তিরোহিত হয়েছে।’

এ সময় বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!