ঢাকা: রাজনীতির ময়দানে দু’জনের মাঝে বৈরিতা যতই থাকুক না কেন একটি বিষয়ে মিল রয়েছে দেশের শীর্ষ দুই রাজনীতিবিদ ওবায়দুল কাদের ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মাঝে। চিকিৎসার জন্য তাদের দুজনেরই ভরসাস্থল সিঙ্গাপুর।
শুধু তারাই নন, শীর্ষ রাজনীতিক-ব্যবসায়ীদের অনেকেই দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে পছন্দ করেন। যদিও বর্তমানে বাংলাদেশেই উন্নতমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা বিদ্যমান তার উদাহরণও রয়েছে প্রচুর।
যাই হোক, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেছেন গত রোববার (৩ মার্চ)। সেখানে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে শিগগিরই তিনি ঢাকায় ফিরবেন বলেও জানা গেছে।
২০১৯ সালের ২ মার্চ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের। সেখানে দ্রুত এনজিওগ্রাম করার পর তার হৃদপিণ্ডের রক্তনালিতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। ভারতের বিখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠি ঢাকায় এসে ওবায়দুল কাদেরকে দেখার পর সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
পরে ৪ মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেয়া হয়। ২০ মার্চ ওই হাসপাতালে তার বাইপাস সার্জারি হয়। দুই মাস ১১ দিন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে ১৫ মে সন্ধ্যায় দেশে ফিরে আসেন। এরপর থেকে ফলো-আপ চিকিৎসার জন্য নিয়মিত সিঙ্গাপুর যান তিনি।
অন্যদিকে সোমবার (৪ মার্চ) সকালে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।
সিঙ্গাপুরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসার শিডিউল থাকায় তাকে দেশটিতে যেতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর বাসা থেকে গ্রেফতার হওয়ার প্রায় সাড়ে তিন মাস পর গত মাসে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল। দীর্ঘসময় কারাগারে থাকায় তার শারীরিক জটিলতাগুলো বেড়েছে বলে পারিবারিক ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে। ইতোমধ্যে তাকে এক হাতে লাঠির সহযোগিতা নিয়ে হাঁটতে হচ্ছে।
দলীয় সূত্র বলছে, বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কেউ কেউ দেশের বাইরে যেতে পারেন। কেউ কেউ ঈদের পর বিদেশে যাবেন দীর্ঘমেয়াদে চিকিৎসার কাজে। ইতোমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সালাহউদ্দিন আহমেদ দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।
এর আগে বিএনপির আন্দোলন চলাকালে গত ২৪ আগস্ট সিঙ্গাপুরে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সে সময় তার সঙ্গে স্ত্রী ও কন্যা গিয়েছিলেন।
আইএ